জামাল কাড়াল বরিশাল
বরিশাল নগরীর রূপাতলী টার্মিনালে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির একাংশ। এ জন্য তারা গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন।এর আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো.সাইফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন। গত ৫ আগস্টের পর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার মালিক সমিতির সভাপতি হয়ে রূপাতলী বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছেন।কমিটি বাতিলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাস মালিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ১৪ দিনের মধ্যে জবাব দিতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ নির্দেশনা মানেননি তিনি। এ কারণে গত ২০ নভেম্বরে অনুমোদন দেওয়া বরিশাল- পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির কমিটি বাতিল করা হলো।টার্মিনাল সূত্র জানায়, টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মালিক সমিতির আরেক সদস্য মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের সঙ্গে জিয়াউদ্দিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। নাসরিনের নেতৃত্বে ৩৮ জন বাস মালিক কেন্দ্রীয় সমিতিতে অভিযোগ দেন।
বরিশাল-রূপাতলী মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি আ. মান্নান বলেন, ‘কমিটি বিলুপ্তির পর রোববার রাতেও বিভিন্ন কাউন্টার থেকে মালিক সমিতির নামে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। দৈনিক ৩৭ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়। এতে সাধারণ মালিকরা ক্ষুব্ধ।’
আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘বাস মালিকরা ডিসির সঙ্গে দেখা করে নতুন নির্বাচন চেয়েছেন। টার্মিনালে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিসি।’ একই দাবি জানিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও তারা সাক্ষাৎ করেছেন।চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কমিটি বিলুপ্তির কোনো চিঠি পাইনি। এসব বিষয়ে কিছু জানি না।’বরিশালের ডিসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে কল করলেও ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকজন বাস মালিক এসেছিলেন, তারা কমিটি বাতিলের চিঠি দিয়েছেন। তবে তারা চাঁদাবাজির কথা বলেননি।