যশোরের বড় বাজারে সবজির দাম দুধারে চড়া হয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। রোববার দেখা যায়, বেগুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজিও ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও দাম স্বাভাবিক নয়।
সবজির আড়তদাররা জানান, অবিরাম বৃষ্টির কারণে যশোর ও আশপাশের এলাকার সবজির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তাই স্থানীয় সবজির সরবরাহ কমে গিয়ে অন্য জেলা থেকে আমদানি করা হচ্ছে, যার কারণে দাম বাড়ছে।
পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। আড়তে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা হলেও খুচরা বিক্রেতারা ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এতে সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন বাজার তদারকির অভাবে দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
ডিম ও মুরগির দামও বেড়েছে। লাল ডিমের দাম হালিতে ৪৮ টাকা, মুরগির কেজি ৩২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
অন্যদিকে, ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে ভরা মৌসুমে। তবে অধিকাংশ ইলিশ ছোট আকারের হওয়ায় ক্রেতারা অস্বস্তিতে রয়েছেন। নদীর ইলিশের দাম কেজিতে ২১০০ থেকে ২২০০ টাকা, সাগরের ইলিশ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আড়তদাররা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামি সপ্তাহে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ বাড়বে ও দাম কিছুটা কমে আসবে।
বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।