রিটন কুমার নাথ,(বান্দরবান) স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানে মেঘলা দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দিয়েছেন প্রশাসন। বুধবার ১৬ এপ্রিল বিকেলে জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও জীব বৈচিত্র বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের ডুলা হাজারা সাফারি পার্কে পাঠায়। গত কিছু দিন আগে ন্যাচার বাংলাদেশ নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিড়িয়াখানার একটি অসুস্থ ভাল্লুকের ভিডিও পোস্ট করেন। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি একজন বিচারকের নজরে আসলে গত ১০ মার্চ আদালত এই চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত নির্দেশ দেন। এবং বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানায় গিয়ে তারা দেখতে পান যে প্রাণীগুলোকে রাখা হয়েছে তাদের কোন সঠিক ভাবে লালন পালনের ব্যবস্থা নেই। এমনকি সংরক্ষণের কোন বৈধ অনুমতি ও নেই। নিয়ম মেনে মেঘলা চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জীববৈচিত্র বিভাগের কর্মকর্তা নুরজাহান বলেন দেশীয় কোন প্রাণী কেউ ইচ্ছামত সংরক্ষণ করতে পারেনা। মেঘলা চিড়িয়াখানায় শুধু চিত্রা হরিণ সংরক্ষণের অনুমতি থাকলেও মেঘলাই রাখা হয়েছিল মায়া হরিণ সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। যা স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন। এই ধরনের চিড়িয়াখানা পরিচালনা সম্পুন্ন অবৈধ। উল্লেখ্য এই বন্যপ্রাণী গুলো পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সে চিড়িয়াখানার নামে প্রাণীগুলোকে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিল যা অনুমোদনহীন।