প্রতিনিধি 27 July 2025 , 10:08:27 প্রিন্ট সংস্করণ
বিছানা সাজাতে বা গোছাতে কত জিনিষই প্রয়োজন। তোশক, জাজিম, বালিশ এসব দিয়েই সাজিয়ে তোলা হয় বিছানাটি। দিন শেষে মানুষ বিছানায় এলিয়ে দেয় ক্লান্ত শরীর। আর সেখানেই বিপত্তি! শরীরের ঘাম, জীবাণু মিশে একাকার হয়ে যায় বিছানায়। প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে শক্ত হয়ে যায় মাথার নিচের বালিশটি। এমনকি পিঠের নিচের তোশক বা জাজিমও। নিয়ম করে যত্ন নিলেই এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ভালো রাখা সম্ভব।এ বিষয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়ার পরামর্শ জেনে নিন
বালিশের যত্নে
বালিশ নিয়ম করে রোদে দিতে হয়। আর সুযোগ থাকলে সেটা করা উচিৎ প্রতিদিন। তা যদি সম্ভব না হয় অন্তত দুই-তিন দিন পর পর বালিশ রোদে দেবেন। দীর্ঘ দিন রোদে না দিলে, বালিশের তুলা চুপসে যায়। বাজে গন্ধ হয়। এটা থেকে রোগ জীবাণু ছড়ায়।
তোশকের যত্নেবালিশ সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেয়া যায়। কিন্তু তোশকের বেলায় এই কাজটা একটু কঠিন। তারপরও তোশক রোদে দিতে হবে ১৫ দিন, এক মাস পর পর। দুই- তিন মাস পর পর তোশক উল্টিয়ে বিছাতে হবে। তোশকে কাভার ব্যবহার করতে পারলে ভালো। এতে ময়লা জমলে ধুয়ে নিতে পারবেন।জাজিমের যত্ন
জাজিম রোদে দেবার জন্য রোদ ঝলমলে একটা দিন বেছে নেবে। এই-রোদ আবার এই বৃষ্টি এমন দিনে জাজিম রোদে দিতে যাবে না। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিতে পারে তোমার জাজিমটা। ৩ মাসে অন্তত একবার জাজিম রোদে দেবে।প্রতিদিন একটু একটু
রোদেলা দিনে বিছানায় যেন রোদ পড়ে এজন্য খোলা রাখবে জানালা। একটা কথা, যখন দেখবে রোদে দিলেও বালিশ, তোশক বা জাজিমের তুলা ফুলে উঠছে না তখন বুঝবে সেটি পাল্টানোর সময় হয়েছে। না পাল্টালেউ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নেওয়া ভালো।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেটে পাওয়া যাবে জাজিম, তোশক এবং বালিশ। কমলাপুর বাজার রোড ও সাইন্সল্যাবের বিভিন্ন দোকানেও মিলবে এসব জিনিষ।
বিভিন্ন ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেল, জাজিম প্রধানত তিন মাপের হয় ৬/৭ফুট, ৫/৭ফুট এবং ৪/৭ফুট হয়। আকারভেদে জাজিমের দাম কম বেশি হতে পারে।
তোশকের পরিমাপ জাজিমের আকারেই হয়। বালিশের আকারেও রয়েছে ভিন্নতা।
সবচেয়ে বেশি চলে ১৮/২৪ ইঞ্চি মাপের বালিশ। প্রতিটির দাম পড়বে, ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা।