মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়
বাল্যবিবাহকে না, প্রতিরোধের শপথ ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন যশোরের মনিরামপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে মনিরামপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বসুন্ধরা-শুভসংঘ মনিরামপুর উপজেলা শাখা এ অনুষ্ঠানের আযোজন করে। বসুন্ধরা শুভসংঘের মনিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এসএম হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক এম.এম তছির উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রউফ, শংকর কুমার মন্ডল, নাজমুস শাহাদাৎ, জালাল উদ্দীন, ফরিদ উদ্দীন, ইকরামুল ইসলাম, ধীমান দাস, সুমন ঘোষ, অরণ্য ভানু মল্লিক, বর্ণালী মল্লিক প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ আমাদের সমাজে একটি বড় সমস্যা। এটি শুধু একজন কিশোরীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে না, বরং পুরো সমাজের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীরা যদি সচেতন হয়, তাহলে আমরা একটি সুন্দর ও উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারবো। বক্তারা বলেন, বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাঁধা হচ্ছে এই বাল্যবিবাহ। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থতম। আর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের পরেই ২য় অবস্থানে। এটা আমাদের দেশের জন্য সুখবর নয়। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ রয়েছে; যেমন-অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, দরিদ্রতা ইত্যাদি। সাধারণত দরিদ্র পরিবার তাদের কন্যাসন্তানকে বোঝা হিসেবে বিবেচনা করে অল্প বয়সে অযোগ্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কারণ বাল্যবিবাহ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অল্প বয়সে বিবাহের কারণে অল্প বয়সেই মেয়েরা গর্ভবতী হয়ে যায়, যা তাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই অবস্থার উত্তরণের জন্য চাই সামাজিক সচেতনতা। কারণ সামাজিকভাবে প্রতিরোধ ছাড়া এটা নির্মূল সম্ভব না। আইন কবে হয়তোবা এব হার কিছুটা কমানো যাবে, কিন্তু সমাজ থেকে পুরোপুরি নির্মূল করার জন্য আমাদের গ্রামে-গঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায়, শহরে প্রতিরোধ গড়তে হবে সামাজিকভাবে। এর জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের প্রত্যেককে বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে এই সমাজ থেকে বাল্যবিবাহের মত একটি সামাজিক ব্যাধিকে দূর করি এবং সুখী সমৃদ্ধ স্বদেশ গাঁড়