অপরাধ

বিএনপির নেতা লিটন হত্যা: ১০ বছরেও বিচার পায়নি পরিবার।

  প্রতিনিধি 18 August 2025 , 4:43:01 প্রিন্ট সংস্করণ

 

স্টাফ রিপোর্টার :

দেখতে দেখতে ১০টি বছর কেটে গেছে। আজো হয়নি বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম লিটন হত্যার বিচার। এখনো বিচারের আশা করেন লিটন এর পরিবার।

 

২০১৬ সালের ২ই ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীরা উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম লিটন কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দশ বছর হয়ে গেলেও সুষ্ঠু বিচার পায়নি এই বিএনপির পরিবার।

 

নিহত সাইফুল ইসলাম লিটনের পরিবার এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

নিহতের পরিবার বলছে, সাইফুল ইসলাম লিটনের বাড়ি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলা সাভার গ্রামে। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক,

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করে।

 

২০১৬ সালে ২ই ফেব্রুয়ারি পেশাগত কাজ শেষে বাজার থেকে মেয়েকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে এলাকার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সাইফুল ইসলাম লিটন কে লক্ষ্য করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাদিক জায়গায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখন করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলাম লিটন এর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।

 

নিহত সাইফুল ইসলাম লিটন এর ছোট ভাই ও উপজেলা বিএনপি নেতা ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জি.এম.নাজমুস সাদাত সুজা বলেন, এই হত্যার নির্দেশদাতা ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সরকার। তাকে কেন এই মামলায় আসামি করা হলো না। এবং আমার ভাই হত্যার বিচারের আশায় পরিবারের সদস্যরা থানা-পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কম ধর্ণা দেননি। কিন্তু সবাই শুধু আশ্বাস দিয়েছেন। বিচারের আশায় থাকতে থাকতে আমার ভাই এর স্ত্রী সন্তান ও আমাদের পরিবার স্বর্গীয় হয়েছেন। কিন্তু বিচার পাইনি। এখন সুষ্ঠু বিচারের জন্য সরকার প্রধান ও দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে কাছে দাবি জানাচ্ছি।

 

নিহত সাইফুল ইসলাম লিটন এর স্ত্রী বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে দিবালকে দেশীয় আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। একাদিক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী থাকার পরেও আসল অপরাধী চক্রকে পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি। এমন কি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এখন আর কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। যতটুকু শুনেছি, এ মামলায় আসামিদেরকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাদের সবাই জামিনে আছে। এখন আর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুই জানি না।

 

এমনকি আসামিরা যামিনী উল্টো আমাদেরকে ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের উপরে রেখেছে আমি আশা করি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ