বরগুনা-২ আসনের (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনির উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মামলায় সাত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মির জামিন আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন। আসামীরা হলেন- লাভু মিয়া ওরফে মো. জাকির হোসেন লাভু, গোলাম মাওলা মিলন, মারজান আবদুল্লা আল মারজান, জাকারিয়া সুমন, মো. নিজাম মো. নিজাম উদ্দিন তালুকদার, কিবরিয়া ও মো. খলিল। এদের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি তার পূর্ব ঘোষিত পাথরঘাটায় সভা করার জন্য ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকা থেকে পাথরঘাটা যাচ্ছিলেন। ওই দিন বিকাল অনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে গাড়ি বহর নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সিএন্ডবি বাজারে পৌছলে বরগুনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের ১০৫ জন নেতা কর্মিরা অজ্ঞাত আরও দুইশত কর্মিরা নুরুল ইসলাম মনির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মণি গুরুতর আহত হন। ঘটনায় বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী আহত হন এবং অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এ ঘটনায় সোলায়মান সাদিক নামে একজন বাদি হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের ১০৫ জন নেতা-কর্মির বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন।
আসামীদের আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ বলেন, আমার মক্কেল আবার হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করবেন।