অন্যান্য

বিদ্যালয়ের দানকৃত জমি বিক্রি করে ২৩ লাখ আত্মসাৎ: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

  প্রতিনিধি 3 August 2025 , 2:41:22 প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ সফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ডায়নারপাড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দানকৃত ৪৭ শতক জমি ব্যক্তিগতভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং ইতোমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

জানা যায়, বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত এবং ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি শিক্ষানুরাগী খলিলুর রহমান একটি দানপত্রের (দলিল নম্বর ২৭৮) মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নামে ৪৭ শতক জমি দান করেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই বছরের ১০ জুন প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন স্থানীয় তিন ব্যক্তির কাছে (মফিজুল ইসলাম, মন্তাজ আলী ও শাহজাহান আলী) ১৮, ১২ ও ১৭ শতক করে জমি বিক্রি করেন, যার দলিল নম্বর যথাক্রমে ৪৪৫০, ৪৪৫১ ও ৪৪৫২। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এসব জমির বিনিময়ে তিনি মোট ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

এছাড়াও, এছাহাক আলী গংয়ের দানকৃত আরও ৮৯ শতক জমির মধ্যে মাত্র ২০ শতক জমিতে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। বাকি জমিতে বসবাস করছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, ওই জমিগুলোও টাকার বিনিময়ে বসতবাড়ি গড়ার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জিত কুমার, আব্দুস সাত্তার ও ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের নামে দান করা জমি বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

অভিযোগকারী সাহাবুদ্দীন জানান, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, “একটা প্রতিষ্ঠানে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। ২০০৪ সাল থেকে নানা অভিযোগ করা হয়েছে, কেউ কিছুই করতে পারেনি। এখন চাকরি শেষ, যা পাবো তাই নিয়েই বিদায় নেব।”

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত অভিযোগে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।”

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ