প্রতিবেদকঃ- জেমস আব্দুর রহিম রানা
কুমারঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সরকারি বই বিক্রি করলেন মাদ্রাসার সুপার
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর কুমারঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সরকারি ৩২০ কেজি বই বিক্রি করলেন মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমান, এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টার দিকে এই বই বিক্রির ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায় ঘটনার ২ দিন আগে কুমারঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমান স্থানীয় বাজারের ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী তরিকুলের সাথে গিয়ে দরদাম করে ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী তরিকুলের নাম্বার নিয়ে বলে আসে আমি যখন কল দিব তখন গিয়ে বই গুলো নিয়ে এসো।
পরবর্তী দরদাম করার ২ দিন পর গত ৪ জানুয়ারী শনিবার ছুটির দিন সকাল ১০ টার সময় মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমান ভাঙ্গারি ক্রেতা তরিকুল কে ভ্যান নিয়ে মাদ্রাসায় যেতে বলে
কল দেয়ার কিছুক্ষণের ভিতর তরিকুল মাদ্রাসায় গেলে তার পুরাতন ৯০ সেট বই সহ মোট ৩২০ কেজি বই ১৫ টাকা কেজি দরে ও ৫ কেজি খাতা বিক্রি করে মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমান, মাদ্রাসার দপ্তরী আজহার গাজী ও মাদ্রাসার আয়া ফাতেমা খাতুন ।
এ বিষয়ে কুমারঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমি ২/৫ কেজি নষ্ট বই বিক্রি করেছি, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর জন্য এই গুজব তোলা হয়েছে বলে ফোন কেটে দেন ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গারি ক্রেতা তরিকুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং উপরে বর্ণিত তথ্য প্রদান করে বলেন বই এর যে দাম হয়েছে আমি সেটা কুমারঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মতিউর রহমানের কাছেই দিয়েছি, এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আমার কাছ থেকে বই গুলি নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা দপ্তরী আজহার বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা বলতেও পারবোনা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন ঘটনা সঠিক এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে তবে সে গুলি ধামাচাপা পড়ে যায়
কিছু মহল এ ঘটনাও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় ভাবে বসা বসি করে মিমাংসা করার চেষ্টা করছে, এর আগেও নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে স্থানীয় ভাবে ২ লক্ষ টাকায় রফদফা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানান এমন বই বিক্রি তো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে এটা আর নতুন কী!
এছাড়াও স্থানীয়রা নিয়োগ বানিজ্যে সহ আরও অসংখ্য অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ করেন
বিস্তারিত আসছ............