ইয়াসিন আরাফাত:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন এক সন্তানের জননী এক নারী। এসময় তিনি বিয়ে না করলে যুবকের বাড়িতেই আত্নহত্যার হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চাঁনভাষা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. তারেককে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশনে বসেন ওই নারী।ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ঢাকায় গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে তারেকের সাথে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরবর্তীতে তাকে নিজের অধীনে কাপড় কেনাবেচার কাজ দেন তারেক৷ এরই সুবাদে দুজনের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ৭ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ ওই নারীর। বিয়ের চাপ দিলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে অনশন করেন তিনি। ওই নারী বলেন, গত সাত মাস ধরে একই বাড়িতে আমাকে নিয়ে বসবাস করতো তারেক। এসময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে আমাদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এখন বিয়ের কথা বললে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই অনশনে এসেছি। আমাকে বিয়ে না করলে তার বাড়িতেই আত্নহত্যা করব৷ এর আগে আরও দুবার বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়িতে আসলে আমাকে তারেকের মা বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হযরত আলী বিষয়টির সুরাহা করে দিব বলে পাঠিয়ে দেয়। অনশনে যাওয়া নারীর সাড়ে তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স হয় তার। এদিকে, ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করলেও দুজনের মধ্যে কোন প্রেম ছিল না বলে দাবি অভিযুক্ত যুবক তারেকের। তার দাবি, কাজের সুবাদেই তারা দুজনে এক বাসায় থাকতেন।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।