২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে দিনাজপুরের বিরামপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিরামপুর
উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ শে অক্টোবর) বিকাল ৩ ঘটিকায় বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা মজলিসের শূরা সদস্য ও বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ মকছেদ আলীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, দিনাজপুর ৬ আসনের জামাত মনোনীত প্রার্থী দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার নায়েবে আমির ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক।
আরো বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা সহকারী সেক্রেটারী হাফিজুল ইসলাম,দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার মজলিশে শুরা সদস্য ও বিরামপুর পৌরসভার আমীর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার মজলিশে শুরা সদস্য ও বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ আবুল বাশার ,বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আবু হানিফ , বিরামপুরি উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ ময়নুল ইসলাম,বিরামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহিনুর রহমান, মুকুন্দপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ বাবুল হোসেন , জেলা দক্ষিণের ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আবীর, ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু, আমন্ত্রিত অতিথি শিশির কুমার সরকার ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন জালিম আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার হুকুমে লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো এবং আমাদের নেতা কর্মীদের শুন্য করতে চেয়েছিলো। সে দিন ঢাকা পল্টন ট্রাজেডি সহ সাড়া দেশে অসংখ্য জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীর শহীদ করেছে,সেই দিনই বাংলাদেশ তার পথ হারিয়েছে, ২০২৪ শে বাংলাদেশ তার পথের সন্ধান পেয়েছি মাত্র। যা আর কোন অপশক্তি শক্তি এসে এ পথ থেকে সরিয়ে না দিতে পারে। এজন্য অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে সবাইকে কাজ করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। আগামীতে আর কোন অপশক্তি যেন এরকম তান্ডব না চালাতে না পারে, সেই জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভুমিকা পালন করতে হবে। আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশি জামাত শিবিরের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। যারফলে আজ তারা দেশ ছাড়া হয়েছে। তাই সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। সুন্দর এই বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে এবং ২০২৪ সালে জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।