অন্যান্য

বেহাল দশায় ১ম শ্রেণীর পৌরসভা কুড়িগ্রামের রাস্তার

  প্রতিনিধি 10 October 2024 , 3:40:21 প্রিন্ট সংস্করণ

আনোয়ার সাঈদ তিতু

    , কুড়িগ্রাম

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় কুড়িগ্রাম পৌরসভার অভ্যন্তর দিয়ে কুড়িগ্রাম-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কটি যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলছে। জেলায় গত কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণে সড়কগুলো আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার সবুজ পাড়া, পুরাতন পশু হাসপাতাল মোড়, জিয়া বাজার, দাদা মোড়, পৌরসভার সামনসহ কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থল বন্দর যাবার প্রায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তাটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে তিনটি উপজেলার ৪টি থানার যাত্রীবাহী হালকা ও ভারী যানবাহন এবং স্থলবন্দরের পাথর বোঝায় ট্রাক গুলো প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। প্রায় সময় ছোট দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে চলাচলকারীরা। সড়কের এমন বেহাল দশা হলেও পৌরসভা কিংবা সড়ক ও জনপদ বিভাগ অন্ধত্ব হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভা এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনের শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দুইটি সড়ক দুইদিকে চলে গেছে। সড়ক ও জনপদের অধীনের প্রায় ০৩ কিলোমিটার ও কুড়িগ্রাম পৌরসভার অধীনে প্রায় ০২ কিলোমিটার সড়ক এ মোট দুইটি সড়ক দিয়ে জেলার নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। এছাড়াও ভারত থেকে আমদানি করা পন্যবাহী যানবাহনগুলো সোনাহাট স্থলবন্দর রংপুর- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ পথে চলাচল করতে হয়। এসব সড়ক থেকে পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে মাঝারী আকারের একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত কষ্ট করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলি। বেশিরভাগ সময় সড়কে যানবাহন আটকে ট্রাফিক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

অন্যদিকে,এই দুই সড়কের পাশে এবছর ৭ টি পুজা মন্ডপ রয়েছে এবং শহরের প্রতিটি পূজা মন্ডপ এ পথ দিয়ে চলাচল করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে যান। যার ফলে সড়কের এই হাল দেখে অনেক পূজা মন্ডপের লোকজনও চিন্তিত রয়েছে। গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গিয়ে স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমার গাড়ি ২ বার পড়ে গেছে এখানে। আমি সময়মতো মাল ডেলিভারী দিতে পারি না। রিক্সাচালক দুলু মিয়া বলেন, ’এক মাস থেকে রাস্তার এই অবস্থা। ঝরিত কট্টি পানি ,কট্টি খাল বোঝা যায় না। জীবন ধরি চলা নাগে, খাল হয়া গেইছে। গাড়ি চালক ফজলু মিয়া বলেন, কুড়িগ্রামের রাস্তা গুলো চিকন। যানবাহনের তুলনায় রাস্তা প্রশস্ত নয়। সাথে রাস্তায় গর্ত দিয়ে ভরে গেছে। এজন্য যানজট বেড়েছে। সাথে রোগী, যাত্রী এবং চালকদেরও দুর্ভোগ বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, ’আমার দোকানের সামনে খাল হয়া গেইছে। বাধ্য হয়ে বাসা থেকে ইট আনি দিছি, দুইদিন পরে ইট ভাঙি সেই খাল, খালে হইছে। আমরা দ্রুত রাস্তা ঠিক করার দাবি করছি।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ’বৃষ্টি চলছে এমন অবস্থায় টেকসই কাজ করা মুশকিল।জনগনের কষ্ট লাঘবে আমাদের অংশটুকু আপাতত ইট বালু ফেলে গর্তগুলো পুরন করা হবে।’ কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রশাসক উত্তম কুমার রায় বলেন, ’পুজোর আগেই পৌরসভার রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ