এদিন উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, বিসর্জনের ক্ষণ যতই এগিয়ে এসেছে ততই ভক্তদের মনে ছিল বিদায়ের সুর। দুপুরের পর থেকেই মহিলারা বিভিন্ন মিষ্টান্ন খায়িয়ে ও সিঁদুর খেলার মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নেয়। এরপর মন্দির প্রসঙ্গন থেকে দেবীকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বের করা হয় বিজয়া শোভাযাত্রা।
উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার প্রায় প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমাই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের পুকুরে, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা ভাসানো হয়েছে এলাকাভেদে বিভিন্ন নদী ও পুকুরে। বিসর্জন স্থান গুলোতে ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের সজাগ অবস্থান। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সন্ধ্যার আগেই দেওয়া হয়েছে সকল প্রতিমা বিসর্জন।
দেবীর বিসর্জন দিতে আসা ধ্রুব রায় নামে এক ভক্তের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেবী দূর্গা দূর্গতিনাশীনি তিঁনি পৃথিবীতে আসেন অশুভ শক্তির বিনাশ করতে। দেবী আমাদের সকল দুঃখ দূর করে পরিবার পরিজন ও দেশবাসীর জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে এটাই বিশ্বাস করি। আর্শীবাদ করে দেবী দুর্গা আবারও ফিরে গেছেন কৈলাসে স্বামীগৃহে- এমনটাই বিশ্বাস আমাদের সবার।