দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাস্থ গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষকদের হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ ১৭/৯/২৪ইং রোজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষ হলে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের কিছু যৌক্তিক সংস্কারের নামে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ অভিযোগ তোলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের প্রশ্রয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা, বদরুন্নাহার, ফারজানা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এসব শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তারা পরীক্ষার সময় নম্বর কমিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
তবে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে আজ সকালে মানবনন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ। তার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পড়ালেখার ধারাবাহিকতাকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবেও দেখছেন অভিভাবকরা।
এসময় মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের আন্দোলনটি ছিল কিছু সংস্কারের জন্য। তবে সেটি আন্দোলন পর্যন্ত থাকেনি। কিছু অতি- উৎসাহী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক আন্দোলনের নামে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানহানি করেছে। এখন শিক্ষকরা ভয়ভীতি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠাদান করাচ্ছেন। যে আন্দোলনে শিক্ষকদের সম্মানহানী করা হয়, হেনস্তা করা হয় সেটি কখনো যৌক্তিক আন্দোলন হতে পারে না। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে আজ আমরা একত্রিত হয়েছি। তাছাড়া প্রত্যাশা করছি যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিয়ে প্রশাসন তদন্ত করুক এবং শিক্ষকদের আবারও বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হোক।
তাদের বক্তব্য শেষ হলে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হয়। এসময় জেলা প্রশাসকের মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষকদের মানহানির বিষয়টি তুলে ধরা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আজ কিছুদিন যাবত গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে আবার কেউবা পক্ষে করছে। আন্দোলনকে ঘিরে বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। শিক্ষকদের যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে সেটি কর্তৃপক্ষ দেখবেন। এখানে শিক্ষার্থীদের বিচার করার কোনো এখতিয়ার নেই। তদন্ত সাপেক্ষে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আবার যেসব শিক্ষার্থী বিষয়টিকে ভিন্নদিকে ধাবিত করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।