প্রতিনিধি 21 February 2025 , 6:21:57 প্রিন্ট সংস্করণ
তানভীর সালাম অর্ণব
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরও অনেক অকুতোভয় তরুণ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের মাতৃভাষার অধিকার। ভাষার জন্য আত্মত্যাগের সেই গৌরবময় অধ্যায় আজ ৭৩ বছর পরেও বাঙালির হৃদয়ে অমলিন।
সময়ের পরিক্রমায় একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু শোকের দিন নয়, এটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও গৌরবের প্রতীক। এদিন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতি স্মরণ করে সেই বীরদের, যাদের আত্মদানের ফলেই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। অমর একুশে নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানতে কথা হয় তাদের সঙ্গে।
ভাষা শহিদের আত্মত্যাগে কারণেই আজ আমরা বলতে পারছিঃ
১৯৫২ সালে ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া সেই অকুতোভয় তরুণদের কথা মনে হলে একদিকে যেমন গর্বে বুক ভরে যায়, অন্যদিকে হৃদয় ভারী হয়ে আসে। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, লিখতে পারছি, নিজেদের পরিচয়কে বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরতে পারছি। আজকের দিনে আমি প্রত্যাশা করি, আমরা সবাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আরও বেশি সচেতন হবো। বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে, সমৃদ্ধ করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর সঠিক রূপ সংরক্ষণে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হবো।
অন্তু চন্দ অর্ঘ্য
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ
২০১৯-২০ সেশন।
একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু শোকের নয়, গৌরবেরও দিনঃ
এই দিনটিতে বীর শহিদদের আত্মত্যাগের কথা মনে পড়ে, যারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের সাহস ও সংগ্রাম আমাদের জাতীয় চেতনার ভিত্তি গড়ে তুলেছে। একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু শোকের নয়, গৌরবেরও দিন। ভাষা আন্দোলনের শহিদরা আমাদের হৃদয়ে চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছি, যা আমাদের জাতিসত্তার মূল ভিত্তি। ভাষার জন্য জীবন দেওয়ার ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল, কিন্তু বাঙালির রয়েছে সে গৌরবময় অধ্যায়। এই একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অহংকার, আমাদের চেতনার প্রতীক।
মারুফা আক্তার সুমি
পরিসংখ্যান বিভাগ
২০২০-২১ সেশন
ভাষার অধিকার আদায়ের গৌরবময় ইতিহাসের স্মারকঃ
একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের ভাষার অধিকার আদায়ের গৌরবময় ইতিহাসের স্মারক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখি। ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের শিখিয়েছে মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলা ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ ও বিশ্ব-দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও জ্ঞান-সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখার সংকল্প নিই।
জাকারিয়া ছাইমুন।
ইংরেজি বিভাগ।
২০২০-২১ সেশন
এই দিন শিখায় মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসাঃ
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক। বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র বাঙালিরাই মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই সব শহিদদের আত্মত্যাগ। এই দিন আমাদের শেখায় মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, সংগ্রামের চেতনা ও দেশপ্রেমের মহত্ত্ব। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করার সংকল্প নিয়েই এগিয়ে চলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।