ক্রাইম রিপোর্টার (পাইকগাছা খুলনা)
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিস নিয়ে উঠছে অভিযোগ উঠেছে। এ অফিসে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ( মোছাঃ লতিকা আক্তার ) ট্রান্সফার হওয়ার পর নেই কোনো নির্ধারিত কার্যক্ষমতা এবং নেই কোনো পরিমান মতো এস্টাফ। এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনে পার্শ্ববর্তী গদাইপুর ইউনিয়নও রয়েছে। বর্তমান দুই ইউনিয়নের মানুষ জন রয়েছে ভূমি অফিসের সেবা থেকে বঞ্চিত।
গত ২১/১০/২৪ তারিখে ডিউটি শেষ করে ( মোছাঃ লতিকা আক্তার ) চলে যান পাইকগাছা উপজেলার শুলাদানা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা হিসাবে। তারপর রাড়ুলী ভূমি অফিস কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার কথা থাকেন ডুমুরিয়া উপজেলার একজন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ( বিল্পাব কুমার সরকার )
কিন্তু তিনি এখনো রাড়ুলী ভূমি অফিসে যোগাদান করেনি।
এসময়, ভূমি অফিসের মূল্য কার দায়িত্ব আছেন শুনতে চাইলে অফিস সহকারীর জানান। আমরা কেউ এখন মূল দায়িত্বের মধ্যে নেই। আমরা যত টুকু পারি সেই টুকু সেবা দিয়ে যাচ্ছি মানুষের। বর্তমান রাড়ুলী ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বিল্পাব কুমার সরকারের) বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন তিনি অসুস্থ থাকা কারনে যোগ দিতে পারছে না।
বর্তমান শুলাদানা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি ( মোছাঃ লতিকা আক্তারের) কাছে জানতে চাওয়া হলো তিনি অফিস থেকে আসার আগে দায়িত্ব কাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। তখন তিনি বলেন, আমি উপজেলা ভূমি অফিসের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শুলাদানায় যোগদান করেছি।
সেখানে ভুক্তভোগীরা জানান, এখানে যে পরিমাণ কাজের চাপ তার থেকে অফিসের এস্টাফ কম। তাতে আবার অফিসের কর্মকর্তা না থাকায় ভুগান্তিতে আছি আমরা। ১৫/২০ দিন ভূমি অফিসের হেঁটে বাড়িতে জমির ঝামেলার কোনো সমাধান করতে পারছি না আমরা। এই ভোগান্তি থেকে আমার দ্রুত মুক্তি চাই।