স্টাফ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনার মদনে মিথ্যা ও ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকে বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় মদন প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ঐদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
যাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে-ঢাকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত পত্রিকার সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ হৃদয় নেত্রকোণার আঞ্চলিক প্রতিনিধি, তোফাজ্জল হোসেন মদন প্রতিনিধি
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মোঃ রনি মিয়া, মাসুদ মিয়া, ভুক্তভোগী ফুটবলার কামরুলের ভাই আলম ও মদন ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বিদ্যা মিয়া।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক হৃদয়, তোফাজ্জল, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। তারা এই সরকারের সফল কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্নভাবে পায়তারা করছে। কামরুল হাসান, অমিত হাসান দিপু ও ছোটন মিয়া মঙ্গলবার পাখি শিকার করতে এয়ারগান নিয়ে হাওরে যান। তারা ভালো মানের ফুটবলার। কামরুল ও দিপু ঢাকার প্রথম শ্রেণীর ফুটবল ক্লাবে খেলাধুলা করেন। তারা কখনো ধূমপানও করেননি। কিন্তু তাদেরকে রাইফেল সহ মাদক ও চোরা কারবারি সাজিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন ফয়েজ আহমেদ হৃদয় ও তোফাজ্জল চক্র। অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেন তারা।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অমিত হাসান দিপু ও কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি ১ম শ্রেণি'র ফুটবল ক্লাবে খেলাধুলা করছেন। খেলাধুলা এখন না থাকায় তারা কিছুদিন যাবৎ এলাকায় অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার পাখি স্বীকার করতে এয়ারগান নিয়ে হাওরে যায় তারা। এরমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ নভেম্বর মদন অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনী সদস্যরা উপজেলার কুলিয়াটি কদমতলী এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিকার করা পাখি ও এয়ারগান সহ তাদেরকে আটক করে মদন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ বাদী হইয়া তাহাদের বিরুদ্ধে বন্যাপ্রাণী পাখি শিকার বিরোধ আইনে ননএফআইআর প্রসিকিউশন প্রতিবেদন সহ ওইদিন নেত্রকোণা আদালতে প্রেরণ করেন।
সেনা বাহিনীর কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিম্নোল্লিখিত নামধারী সাংবাদিক ব্যক্তিবর্গ অবৈধ রাইফেল মাদক ও চোরাকারবারি আক্ষা দিয়ে মদনে যৌথ অভিযানে রাইফেলসহ আটক-৩" শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রচার করেন। তারা জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কে এই ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করান।
এরা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তাদের স্বার্থসিদ্ধি না হলে যে কারো বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদে সংবাদ প্রচার করে হয়রানিসহ মানহানি করে থাকেন।
ফয়েজ আহমদ হৃদয়, ও তোফাজ্জল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ধূসর। তারা বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বিভিন্নভাবে পায়তারা করছে। গত ১৮ জুলাই ছাত্র জনতার উপর হামলা ভিডিও চিত্র ধারণ করে ওই ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোকজনদের নাম পরিচয় সনাক্ত করেন এবং ওই ঘটনার মামলায় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি করা হয়। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বাড়ীতে ককটেল পাওয়া গেছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে তারা। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এরা আওয়ামী ফেসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা হিসেবে এখনো সাংবাদিকতার আড়ালে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
মদন থানার পরিদর্শক তদন্ত দেবাংশু সুকুমার দে জানান, কামরুল, দিপু ও ছোটন মিয়াকে শিকার করা দুটি পাখি ও এয়ারগান সহ আটক করা হয়। রাইফেল ও মাদক চোরাকারবারীর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। তবে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে এ তথ্যগুলো তারা কোথায় পেয়েছে আমরা জানি না।