নিজস্ব সংবাদদাতা, নেহালপুর (যশোর) ঃ
যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি খেলনা পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ বিএনপির চার যুবককে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে এ সময় হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় শুরু হয়ে রাত একটায় এ অভিযান শেষ হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হুমায়ুনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আটক চারজনকে পুলিশ শুক্রবার আদালতে চালান দেয়।আটককৃতরা হলো পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাউসুল মোস্তাকের মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসের দ্বিতীয় তলায় গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের আসর সহ আসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুনের নেতৃত্বে মাদকের আসর বসতো। আর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতমাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দাবি উত্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে হোটেলের দুইতলার একটি কক্ষে অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা নকল নাইন এমএম পিস্তল বের করে পুলিশের দিকে তাক করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে সেই নকল নাইন এমএম পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ চার জনকে আটক করে। এ ছাড়াও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েকটি মদের বোতল। আটককৃতরা সবাই বিএনপির সমর্থক বলে ওসি বাবলুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে অভিযানের সময় হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শুক্রবার তাদেরকে পুলিশ আদালতে চালান দেয়। তবে হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাক জানান, তার ছেলে আগে মাদকসেবী ছিল। কিন্তু বর্তমান সে ভাল। অন্যদিকে আটক বিএনপির চার যুবক সম্পর্কে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু জানান, ইতিমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে জানান, বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠায় হবেনা। যেকোন মূল্যে মনিরামপুর থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।