মনিরামপুরে ইসলামি আন্দোলনের সভাপতির সহধর্মিণীর ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক

মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আলহাজ্ব ইবাদুল ইসলাম মনু খালাসি’র সহধর্মিণী আনজুয়ারা বেগম (৪৫) মঙ্গলবার দিবাগত-রাত সাড়ে তিনটার দিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি—রাজেউন)। মৃত্যুর সময় তিনি স্বামী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা’সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বিভিন্ন মহলে শোক বিবৃতি জানিয়েছেন। মরহুমার বড় পুত্র ডাঃ আহসান হাবিব এবং ছোট পুত্র মনিরামপুর ক্যাডেট স্কিম কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা এহসান কবীর জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাদের মমতাময়ী মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় মনিরামপুর ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মনিরামপুর ক্যাডেট স্কিম কওমী মাদ্রাসার পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এদিকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মনিরামপুর শাখার সভাপতির সহধর্মিণীর অকাল মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং জানাযা নামাজে অংশগ্রহণ করেন, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মুসা, জামায়াতে ইসলামীর সূরা সদস্য অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব গাজী এনামুল হক, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফজলুর রহমান, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান মফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক খান শফিয়ার রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তুহিন হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম মহসিন, মনিরামপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শামসুদ্দিন আজাদী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মাদানি নগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মুক্তার হোসেন সহ বিভিন্ন দলের ও পেশাজীবি সংগঠন। অপর দিকে একই দিনে পৌরসভার তাহেরপুর গ্রামে বসবাসকারী ব্যাংকার নাসির উদ্দীন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এদিন যোহর বাদ নামাজে জানাযা শেষে তাহেরপুর মোড়ল পাড়ার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।