অপরাধ

মনিরামপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাঙচুর

  প্রতিনিধি 7 February 2025 , 12:48:09 প্রিন্ট সংস্করণ

নিউজ ডেস্ক

 

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত আওয়ামীলীগের উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে আওয়ামীলীগ উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় লোকজন বলেন, মনিরামপুর উপজেলা সদরে রাজারহাট-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দুই তলার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি অবস্থিত। গতকাল রাত আটটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল বিক্ষুব্ধ তরুণ এক্সকাভেটর নিয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে যান। তাঁদের কাছে দুটি সাউন্ডবক্স ছিল। এরপর তাঁরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ শব্দে হিন্দি গান বাজাতে থাকেন। এক্সকাভেটর দিয়ে প্রথমে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভাঙা হয়। এরপর কার্যালয়ের দোতলার জানালা ভাঙা হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে ভাঙচুর। এরপর একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানগাড়ি করে ভাঙা কলাপসিবল গেট ও জানালা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাতে আওয়ামীলীগের উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুরের সময় ফেসবুক লাইভে এসে নাছিমুল বারী সাইমুন নামের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সৌহার্দ্য, সানি, শরীফ মাহমুদ রয়েছে। শেখ হাসিনা দিল্লি বসে লাইভে এসে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা এবং বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। তারই প্রতিবাদে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশ রয়েছে বাংলাদেশে যত আওয়ামীলীগের অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সব কটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার।’ তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান দাবি করেন, ‘মনিরামপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটি নেই। ভাঙচুরকারীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভাঙচুরের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনাও ছিল না।’ মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।’

 

মনিরামপুরে নতুন ভোটার হচ্ছেন ১৬ হাজার ৬৪৬ জন

রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) ঃ যশোরের মনিরামপুরে ১৬ হাজার ৬শ’৪৬ জন নতুন ভোটার হতে চলেছেন। তবে, নতুন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় ১১ হাজার নিবন্ধিত হলেও সঠিক ডকুমেন্টস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এখনো ৫ হাজার ৫শ’ ৪৬ জন নিবন্ধিত হতে পারেননি। তবে, এখনো অনিবন্ধিত ভোটারা সঠিক ডকুমেন্টস দেকাতে পারলে তারাও নিবন্ধিত হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। জানাযায়, দেশব্যাপী গত ২০ জানুয়ারি হতে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্ধারিত ফরমে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তথ্য সংগ্রকারীরা। যারা ২০০৮ সালে ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম গ্রহন করেছেন তারাই কেবল নিবন্ধিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা কল্লোল কুমার বিশ্বাস জানান, নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৮৮৬ এবং পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ২১৫ জন। এছাড়া একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। এ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের জন্য ১’শ ৪৭ জন তথ্য সংগ্রকারী এবং ২৯ জন সুপার ভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতি আড়াই হাজার ভোটারের জন্য একজন করে তথ্য সংগ্রকারী কাজ করেছেন এবং গড়ে ৫ জন তথ্য সংগ্রকারির জন্য একজন সুপার ভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়। অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সনদ, নাগরিক সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র সহ ১৪ টি ডকুমেন্টস প্রমাণ সাপেক্ষে নিবন্ধিত হতে পেরেছেন। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৮ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৮২ এবং পুরুষ ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩৪ জন। এছাড়া ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। নতুন ভোটার তালিকায়কাগজপত্র প্রমাণের অভাবে হয়েছেন

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ