মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি ॥
যশোরের মনিরামপুরে ১৩ বছর বয়সী পুতনিকে(ছেলের মেয়ে) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে পুলিশ দাদা লুৎফর রহমান(৬২) -কে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা দুপুরে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক ভ্যানচালকের স্ত্রী কয়েক বছর আগে একমাত্র শিশু মেয়েকে স্বামীর কাছে রেখে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে ওই শিশু তার দাদা-দাদির সংসারে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সোমবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় দাদা লুৎফর রহমান ঘরের মধ্যে তার ১৩ বছর বয়সী পুতনিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই পুলিশ হাজরাকাটি গ্রামের বাড়ি থেকে দাদা লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশু জানায়, কয়েকমাস ধরে দাদা তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকি মাঠের ক্ষেতে কাজ করার সময় পুতনিকে সাথে নিয়ে গিয়ে তার শরীর স্পর্শ করে। সোমবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের মধ্যে দাদা লুৎফর রহমান পুতনিকে ধর্ষণ করে।
রাতে এ ঘটনা ওই শিশু আশপাশের কয়েকজন নারীর কাছে খুলে বলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রাত ১২ টার দিকে পুলিশ লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পৃুলিশ সুপার ইমদাদুল হক ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে ওই শিশুটির চাচাতো নানি মঙ্গলবার দুপুরে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ইতোমধ্যে শিশুটিকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে যশোরে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ লুৎফর রহমানকে চালান দিলে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাসনিম হাসান বর্ষা, হাসাইন ইকবাল সানির নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা দুপুরে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।