প্রতিনিধি 6 April 2025 , 8:57:45 প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, মনিরামপুর
মনিরামপুরে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ায় বেয়াইকে (বৌমার বাবা) বেধড়ক মারধরসহ ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক বেয়াই ( জামাইয়ের বাবা)সহ মেয়ের শ্বশুরপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ঠেকাতে গিয়ে বেয়াইনসহ তিন মারপিটর শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার মাসনা গ্রামের নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার হাদিউজ্জামান ওই গ্রামের ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে।
মারধরের শিকার বেয়াই হাদিউজ্জামান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শ্বশুর-দেবরসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন মেয়ের বাবাবাড়িপক্ষের লোকজন।
জানাযায়, বছর তিনেক আগে উপজেলার মাসনা গ্রামের হাদিউজ্জামানের মেয়ে সানজিদা নাহার হাসি পরিবারের অমতে একই গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে বিয়ে করেন। তিনি বছর দেড়েক আগে শ্বশুর হাদিউজ্জামানের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে দুবাই পাড়ি জমান । আলমগীর হোসেন দুবাই যাবার পর থেকে সানজিদার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। এক পর্যায় গেলো মাসে তিনেক আগে সানজিদা নাহার হাসি স্বামী আলমগীর হোসেনকে ডিভোর্স দিয়ে বাবা বাড়ি চলে আসেন। এরপর আলমগীর হোসেনকে দেয়া টাকা ফেরত চান হাদিউজ্জামান। এই টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্য বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
মরধরের শিকার হাদিউজ্জামান জানান, মেয়ে তার বাড়িতে চলে আসার পর টাকা ফেরত চাইলে আলমগীর হোসেনের পরিবারের লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।ঘটনার দিন জমি ক্রয়ের টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্য বের হলে পথিমধ্যি আলমগীরের বাবা জমশেদ আলী,ভাই তাজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, সাজু হোসেন, ওয়াসেকসহ ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাগানের দিকে নিতে থাকে। এসময় হাদিউজ্জামানকে বেধড়ক মারধরসহ কাছে থাকা ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ঠেকাতে গেলে স্ত্রী মাছুমা খাতুন, মেয়ে সানজিদা নাহার বিথি ও ছেলে সোহান হাসান জিমকেও মারধর করা হয়।
হাদিউজ্জামানের স্ত্রী মাছুমা খাতুন জানান, তাকে মারপিট করাসহ বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে।
মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।