প্রতিনিধি 12 April 2025 , 8:31:36 প্রিন্ট সংস্করণ
রিপন হোসেন সাজু
যশোরের মনিরামপুরে নারীর ক্ষমতায়ন ও ব্যবসায়ী সবল প্রকল্পের মাঠ পর্যায় সদাইপাতি দোকানের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিই ভরতপুর গ্রামে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ট্রেইডক্রাফট এক্সচেঞ্জ এর অর্থায়নে ও উলাসী সৃজনী সংঘের বাস্তবায়নে সদাইপাতি নামে দোকানের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার প্রকল্পের নারী সামাজিক সমিতির সদস্যদের পরিবর্তন ও অর্জন সম্পর্কে বক্তব্য শোনেন। এরপর তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে নারী সামাজিক সমিতির সদস্য ও স্থানীয় মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্পের ম্যানেজার (গভর্নেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস) লায়লা জেসমিন বানু। স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং উই প্রকল্প সম্পর্কে সার্বিক ধারণা প্রদান করেন উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি। এ সময় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের হেড অফ প্রোগ্রাম ট্রেইডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের জহির বিন সিদ্দিকী। প্রজেষ্ট কোঅর্ডিনেটর ও ফিল্ড টিম লিডার শাহ সুফী মোহাম্মাদ আলী মোতাক্কেল বিল্লা।
সদাইপাতি ও উই প্রকল্প মনিরামপুর সম্পর্কে সার্বিক ধারণা দেন উপজেলা নারী সামাজিক এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমা খাতুন। উই প্রকল্প আসার পর নারী সামাজিক সমিতি পরিবর্তন ও অর্জন সম্পর্কে আলোচন করেন সুইটি খাতুন। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ স্থাপন ও এর অর্জন সম্পর্কে ধারণা দেন বন্যা দাশ। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন তাহমিনা বেগম। জেন্ডার বৈষম্য সম্পর্কে রোল প্লে করেন পারভিনা বেগম। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তৃতা করেন দক্ষিণ ভরতপুর নারী সামাজিক সমিতির সভাপতি শিলা খাতুন।
সভায় রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আগের মতো সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইইউ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও তাদের কার্যক্রমের অংশ। তাছাড়া, ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে উলাসী সৃজনী সংঘের কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী ও সন্তানসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) এমদাদুল হক, ওসি নুর মোহাম্মাদ গাজী, উলাসী সৃজনী সংঘের প্রকল্প কোঅর্ডিটের জেনিফার জেনী, আঞ্চলিক সমম্বয়কারী হারুন আর রশিদ ও সবল প্রকল্পের সমম্বয়কারী ব্রজেনন্দ্র নাথ।
প্রকল্পের অগ্রগতি ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় নারী সামাজিক সমিতির ম্যানেজার সদাইপাতি দোকানী নাজমিন নাহার বলেন, ১০ বছর আগে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাপের বাড়ি বেকার হয়ে পড়ি। এরপর উলাসী সৃজনী সংঘের সহাতায় এক বছর আগে ৩০ জন নারী সামাজিক সমিতি গঠন হয়। এখন ছেলে রাসেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছে ও নিজেও সাবলম্বী। সংসার নিয়ে ভালো আছি। তারপর সদস্যরাও জনপ্রতি বাড়ি বসে বাৎসরিক লভ্যাংশ পাচ্ছেন পাঁচ হাজার ৭০ টাকা করে।