সারাদেশ

মনিরামপুরে ৬০ টাকার বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ শতাধিক

  প্রতিনিধি 22 March 2025 , 7:38:02 প্রিন্ট সংস্করণ

মনিরামপুর যশোর সংবাদদাতা

 

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ৬০ টাকার বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শতাধিক মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০মার্চ বৃহস্পতিবার জুড়ানপুর গ্রামে কাজী পাড়া জামে মসজিদে ইফতারি খেয়ে ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়,
একই গ্রামের আকবারের ছেলে মামুন ওই মসজিদে বিরিয়ানি দিয়ে ইফতার করান এলাকাবাসীকে। খোজ খবর নিয়ে আরো জানা যায়, যশোরের আইটি পার্কের ২ নং গেট, জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থিত হাসান মিনি চাইনিজ এন্ড স্ত্র্যাকস এর মালিক হাসান শেখ এর থেকে মামুন ২২০ প্যাকেট বিরিয়ানি ৬০ টাকা করে এবং সাথে ৮৫০ টাকার খেজুর ক্রয় করেন। জুড়ানপুর কাজীপাড়া গ্রামের স্থানীয় যুবক তানভীর বলেন, মসজিদে ইফতারিতে বিরিয়ানি খেয়ে গ্রামের প্রায় একশত এর উপরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কিশরী ১৫ বছরের আনিশা ইফতারির বিরিয়ানি খেয়ে বমি ও পেটে ব্যাথা শুরু হলে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে রেষ্টে রয়েছেন।এছাড়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে এলাকার ১৫/১৬ জন স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা নিয়েছেন। ক্রেতা মামুন বলেন, আমি ২২০ প্যাকেট বিরিয়ানি ৬০ টাকা করে১৩,২০০ টাকারও খেজুর ৮৫০ টাকার যশোরের হাসান শেখ এর থেকে বিকাল ৩ টার দিকে ক্রয় করে আনি। পরবর্তীতে সেই প্যাকেট করা বিরিয়ানি ইফতারির আগে মসজিদে ও এলাকায় বিতরণ করা হয়।এই বিরিয়ানি খেয়ে এলাকার অনেকেই অসুস্থ হয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা নিয়েছেন। আমার নিজের পরিবারের ও দুই জন সদস্য অসুস্থ।
বিষয়ে বিক্রেতা হাসান মিনি চাইনিজ এন্ড স্ত্র্যাকস এর মালিক হাসান শেখ বলেন, বিরিয়ানি আমরা রান্না করছি বেলা ১০ টার দিকে দুপুর দুইটার আগে অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিলো। আমরা মামুনকে বলেছিলাম পলিথিন দিয়ে প্যাকেট করা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি আমাদের যেভাবে অর্ডার দিয়েছেন আমরা সেভাবে ডেলিভারি দিয়েছি। এবং তিনি আরো বলেন, কোন পচা বাশি খাবার আমরা দেয়নি।খাবার অনেকসময় পলিথিন ব্যাগে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এবিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ফয়সাল বলেন,গত কাল ইফতারির পরে দুইজন জুড়ানপুর থেকে ফুড পয়জনিং নিয়ে ভর্তি হয়েছিলো তারা রাতে ভর্তি ছিলো সকালে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ