প্রতিনিধি 25 January 2025 , 3:55:49 প্রিন্ট সংস্করণ
জি,এম ফিরোজ উদ্দিন,মনোহরপুর মণিরামপুর প্রতিনিধি
যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গত কয়েকদিন থেকে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়ছে রাস্তা। গত কয়েকদিন থেকেই পড়ছে শিশির বিন্দু। রাস্তা ভিজে গেছে কুয়াশায়। বাইরে বের হলেই শরীর ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়, যা বৃষ্টির মতো মনে হচ্ছে।ঘন কুয়াশা থাকায় মনোহরপুরের বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের লোকজন কাহিল হয়ে পড়েছে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। অনেক দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় কাজেও যোগ দিতে পারছেন না। কাজে যোগ দিতে না পারায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছে।
বুধবার বেলা ১২ টা বেজে ৪৫ মিনিট তারপরও সুর্য্য মামার মুখ দেখা মেলে নি।এ রিপোর্টে লেখার সময় পযন্ত সূর্য্য মামা একটু একটু দেখা দিয়েছে।তখন বেলা ২ বেজে ৩৯ মিনিটে। তীব্রতা বাড়লেও বিকেল হতে না হতেই শুরু হয় উত্তরের হীম বাতাস ও সেইসাথে বাড়ছে তীব্র শীত। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে।যেমন হিমেল হাওয়া তেমনি কুয়াশা আবার হাড় কাপানো শীত। যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুরে শীত, কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার প্রকোপে কাঁপছে।ঘড়ির কাটা ঠিক বারোটা।তখনও সূর্য্য মামার দেখা মেলিনি।বইছে হীমেল হাওয়া।শীতে কাপছে দেশ।। থেকে শুরু হওয়া কুয়াশা আর রাতে বৃষ্টির ফোটার মত কুয়াশা পড়ছে গাছে ও ঘরের চালের উপর। ঘন কুয়াশা আর সূর্যের অনুপস্থিতি জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মনোহরপুর গ্রামের ভ্যানচালক আউব বলেন, ঠান্ডা হাওয়ার কারণে ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় সামনে কিছু দেখা যায় না, হিম বাতাস শরীরে কাঁটার মতো বিঁধে।চা বিক্রেতা মো আক্তারুল বলেন, ভোরে দোকান খুললেও তেমন বেচাকেনা নাই। মানুষ ঠান্ডায় বাইরে আসছে না। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।
দিনমজুররা বলেন, সকালে কাজের খোঁজে বের হয়েছি, কিন্তু কুয়াশায় পথ দেখা যায় না। কাজ না করলে সংসার চলবে না, তাই বের হতে হয়। মাঠে কাজ করে কৃষকরা জানান,এত শীত আর ঠান্ডা বাতাস আমাদের শরীর আরো ঠান্ডা করে দেচ্ছে।তার জন্য মাঠে কাজও করতে যেতে পারছি না।আর এরকম থাকলে না খায়ে মরতে হবে নে আমাগে। বিভিন্ন স্থানে ছোট,বড় ও বৃদ্ধা মানুষ পযন্ত মশাল জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে।একটু আগুনের তাপ নিচ্ছে সকলে। যানবাহন চলাচলেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা।হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। তাদের আহ্বান শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
বাতাসের আর্দ্রতা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর এই শীতের জন্য বাচ্চাদের ও রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে কম না।
পৌষের দাপটে সারা দেশের মত কনকনে শীত পড়ছেমনোহরপুরেও। সেই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশা। বিপর্যস্ত জনজীবন।বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশায় ভিজে গেছে রাস্তাঘাট। আর যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঘড়ির কাটা বেড়ে গেলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। বরাবরের মতোই শীতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় খেটেখাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ।হীমেল হাওয়ার সাথে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষরা খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।