নিজাম উদ্দীন
নদীটি দখলমুক্ত করার হউক।শহরের ব্যস্ততম জায়গা গৌরাঙ্গ বাজার ব্রিজ বা বড় বাজার ব্রিজ থেকে নদীটি দেখে যে কারও মন খারাপ হতে পারে। চারদিকে ময়লার স্তুপ আর আবর্জনা ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। কিন্তু এক সময় এ নদী দিয়ে বড় বড় লঞ্চ, ট্রলার যাতায়াত করত। নদীতে পাওয়া যেত নানা রকমের মাছ। বর্ষায় পানিতে থাকত ভরপুর। আজকের প্রজন্মেরকাছে এসব শুধু গল্পকথা। ময়লা-আবর্জনায় নদীটি ভরাট হয়ে দিনেদিনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। কচুরিপানা আর ময়লার জন্য পানি প্রবাহের সামান্য সুযোগও নেই। মাঝেমধ্যে কোথাও ডোবার মতো অল্প পানি জমে আছে। নদী ভরাট করে বসানো হয়েছে অস্থায়ী বাজার। প্রশাসন ও পৌরসভা নদীটি রক্ষায় কার্যকর কিছুই করেনি। নদীটির অস্তিত্ব এখন পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে। নরসুন্দার অবয়ব থেকে ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে নদীর চিহ্ন। অস্তিত্ব বিলীন হতে যাওয়া নরসুন্দা রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। সরকারকে দেশের নদী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নরসুন্দা নদীর দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট, দালান-কোঠা অপসারণ করে নদীটি খনন করে হাওড়ের সঙ্গে পানি চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে নরসুন্দা আবার প্রাণ ফিরে পাবে। এই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা যদি দ্রুত অপসারণপূর্বক দখলদারদের মালিকানা বাতিল করা জরুরী প্রয়োজন।বিশিষ্টজনদের অভিজ্ঞতা হলো- নদীর অবৈধ দখলদার, স্থানীয় প্রশাসন-স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে একটি জোট গঠিত হয়। এই জোট ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগেই নদীটি দখলমুক্ত করতে হবে। দ্রুতই নরসুন্ধা নদীকে মুক্ত করতে হবে। পরিবেশ-প্রতিবেশ-অর্থনীতি-কৃষি-জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার স্বার্থেই এ কাজ জরুরি।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নরসুন্দা নদীকে অবৈধ দখলদারদের দখল হতে রক্ষার্থে সিএস নকশা অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের তালিকা দ্রুত করে বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মহোদয়ের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে, সদয় পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নরসুন্দা নদীতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম কর্তৃক সম্ভাব্যতা যাচাই চলমান রয়েছে। বাস্তবায়নযোগ্যতা নিরীক্ষার সুপারিশের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷
S/KS