প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০২৫, ৫:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৫, ৭:১৭ এ.এম

জি এম ফিরোজ উদ্দিন
আমরা প্রথম ভুলটি করি নার্সারী থেকে চারা কেনার সময় প্রায় দেখবেন বেশীর ভাগ নার্সারী থেকে রোগ সহ গাছ কিনে আনা হয়ে থাকে কারণ আমরা সবাই বেশ বড় চারা পছন্দ করি। আর নার্সারীতে চারাকে যতটা না যত্নে রাখা হয় তার থেকে বেশি বড় গাছ করতে চকচকে চেহারার গাছ সাজিয়ে রাখা হয় শুধু নাইট্রোজেন সারের যোগান দিয়ে, সে ভাবে রোগ মুক্ত গাছ সব সময়ে সব নার্সারীতে থাকে না। তাই উচিত হবে ছোট সুন্দর সুস্থ সবল চারা গাছ সংগ্রহ করা। আর প্রবাদেও আছে (মরিচের গুড়ো বেগুনের বুড়ো) মানে দাড়ায় মরিচ গাছের ছোট চারা আর বেগুন গাছের বড় চারা লাগাবার জন্য বলা আছে।
গাছ লাগাবার মাটি তৈরিতে ভালো মানের ভার্মি কম্পোস্ট, বেলে দোআঁশ মাটি, অল্প নিম খৈল, অল্প কোকোপিট। এ গুলো যথেষ্ট মাটি তৈরিতে। টব নির্বচন করুন ৮" থেকে ১০" সাইজের। তাতেই ধরবে অজস্র মরিচ আপনার হাতে অকারণে খুব বড় টবে লাগিয়ে ঝামেলা বাড়াবেন না। তবে গাছের সাইজের সাথে সাথে টব পরিবর্তন করে বড় টবে নিতে পারেন।
গাছ লাগিয়ে টবের মাটিতে গাছটি দাড়িয়ে যাবার পরে প্রথম যে কাজটি করুন সেটি হলো এক লিটার পানিতে এক চা চামচ বা ৫ গ্রাম ভালো মানের হিউমিক এসিড যেটি পানিতে সহজে গুলে যাবে, সেটিকে গুলে নিয়ে গাছের গোড়ার মাটিতে প্রয়োগ করুন।
ব্যাস তার দিন তিনেক পর থেকে গাছের স্বাভাবিক সারের যোগান চালু করুন।
ইপসাম সল্ট বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এক লিটার পানিতে ২/৩ গ্রাম বা হাফ চা চামচ গুলে গাছের পাতায় স্প্রে দিন এবং গাছের গোড়ার মাটিতে প্রয়োগ করুন। ২/৩ বার দেবার পরে দেখুন আপনার গাছটি বেশ বাড়তে শুরু করেছে।
অতিরিক্ত যত্ন-
(যারা খরচ করে আরো ভালো ফলন চান)
- যারা বেশি পরিমানে বা বাড়তি খরচ করে প্রদর্শনী মানের গাছ করতে চাইছেন তারা যোগ করুন
এতে গাছ আরো সতেজ হয়ে বেড়ে উঠতে দেখবেন।সাথে রাখুন এক চা চামচ বা ৫ গ্রাম করে সী উইড দানা তা ও তা ও প্রতি ১৫ দিনে একবার করে।
এর পাশাপাশি গাছটি পূর্ণাতা পেলে NPK 20-20-20 ব্যাবহার করতে পারেন।
তখন আর NPK 12-61-0 দরকার হবে না।
আরো ভালো হবে যদি NPK 0-52-34 গাছের বৃদ্ধির মাঝ বয়সে একবার প্রয়োগ করতে পারেন, আর শেষ ধাপে দিন NPK 0-0-50 বা এস ও পি বা সালফেট অফ পটাস।
(এখানে N-ইউরিয়া, P-ফসফরাস, K- পটাশিয়াম এর কথা বলা হয়েছে। যারা খরচ কমাতে চান তারা আলাদা ভাবে এই সার কিনেও ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বাড়িতে কিভাবে NPK বানাতে পারেন সেটাও আমরা অন্য পোষ্টে বলে দিব)
রোগ বালাই দমন-
গাছের পুষ্টির যোগান সঠিক থাকলে রোগ পোকার আক্রমণ হবে না বা হলেও খুবই কম বিশেষ করে বায়োভিটা এক্স সী উইড দানা ব্যাবহারে গাছকে বেশি নিরোগ রাখতে সাহায্য করবে।
তবুও হাতের কাছে রাখতে পারেন ইমিডাক্লোপিড এবং এবামেকটিন গ্রুপের দুটি ঔষধ হাতের কাছে। যেমন - ইমিটাফ, নাইট্রো বা ভার্টিমেক
যারা অল্প দামে কীটনাশক চান তারা ব্যাবহার করতে পারেন ক্যাপচার বা এই ধরনের কীটনাশক।
এটিতে ঐ দুটি উপাদান এক সাথে পাবেন। তাই আলাদা ভাবে দুটি ভিন্ন কীটনাশক কিনতে হবে না। আরো মজার বিষয় দুটি কীট*নাশক আলাদা ভাবে কিনতে যত টাকা খরচ করতে হতো তার ১০ ভাগের এক ভাগ টাকা ও খরচ হবে না এটি কিনতে মাত্র ৩০ টাকার + - দামে সংগ্রহ করতে পারবেন একে। ছোট্ট ২ গ্রামের স্লাস প্যাক এর থেকে ছোট কয়েক টি দানা ঔষধ এক লিটার পানিতে গুলে সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একবার করে স্প্রে রাখুন নিরোগ গাছ বানাতে।
মরিচ ধরা শুরু করলে বন্ধ করুন কীট*নাশক এর ব্যবহার।।
ফুল ঝরে যাওয়া নিয়ে অন্য একটি পোষ্ট আছে।
আরো জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
ফেসবুক থেকে সংগ্রহ