ফয়সাল হায়দার জেলা ব্যুরো চিফ মাগুরা।
মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোরের নামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীক দোকান খোলার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় আঙিণায় খোলা দোকানটিতে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার পণ্য রয়েছে। সরজেমিনে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে এটি সততা স্টোর নয়। বরং সততা স্টোরের নামে বড়সড় দোকান পরিচালনা করা হচ্ছে। দোকানের ভেতরে রয়েছে ফ্রিজ। ব্যবসায়ীক এ দোকানটি পরিচালনা করছেন বিদ্যালয়ের নিরাপত্ত্বাকর্মী জসিম খন্দকার।
নিয়মানুযায়ী, জিনিসপত্রের গায়ে ও প্যাকেটে বিক্রয় মূল্য লেখা থাকবে। সেই দাম অনুযায়ী খাতা-কলম বা অন্য কোনো শিক্ষা সামগ্রী এবং টিফিন (কেক, বিস্কুট, চকলেট ইত্যাদি) নিয়ে নির্ধারিত বাক্সে টাকা রাখতে হবে। এভাবে কোনো রকম দরদাম ছাড়াই শিক্ষার্থীরা কেনাকাটা করতে পারবে ‘সততা স্টোর’ থেকে। ওই দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবে এবং রাখতে পারবে সততার স্বাক্ষর। কিন্তু মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় আঙিণায় গড়ে তোলা ‘সততা স্টোর’টিকে পুরোদমে বাজারের ব্যবসায়ীক দোকানের মতো মনে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সততা স্টোরের খোঁজখবর নিতে গেলে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা আকবার আলী খন্দকারের ছেলে জসিম খন্দকার দোকানটি পরিচালনা করছেন। দোকান পরিচালনায় থাকা লোকটি এ বিদ্যালয়েরই নিরাপত্ত্বকর্মী হিসেবে কর্মরত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, দোকানের ফ্রিজটি নিরাপত্ত্বাকর্মী জসিমের এবং তাকে দিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।
এ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অয়েজ কুরুনি জানায়, তারা সততা স্টোর থেকে জসিমের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে।
প্রধান শিক্ষক মাফুজার রহমান বলেন, ‘সততা স্টোর যে নিয়মে চলার কথা সেভাবেই চালানো হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘সততা স্টোর যে নিয়মে চলার কথা সেভাবে পরিচালনার জন্য আমি ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষককে মৌখিখভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।