প্রতিনিধি 18 November 2024 , 7:06:59 প্রিন্ট সংস্করণ
সুমন চন্দ্র দে, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নতির জন্য পুলিশের জোরালো ভূমিকা চলমান। বিশেষ করে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অপরাধীদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের নিজস্ব সোর্সদের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আটক করার জন্য রাত-দিন পরিশ্রম বর্তমান পুলিশ প্রশাসন।
১৭ নভেম্বর (রবিবার) রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত, জিআর ও সিআর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার করেন পুলিশের বিশেষ বিশেষ টিম। মহেশখালী উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মহেশখালী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকভাবে এই পর্যন্ত অসংখ্য ওয়ারেন্ট ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক করেন। বিশেষ করে মহেশখালী থানায় ওসি কাইছার হামিদ যোগদানের পর থেকে বিশেষ নির্দেশনা ছিলো ২৪ ঘন্টায় যে কোন জিডির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া এবং সাজা ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার করা।
ওসির নির্দেশনায় সেকেন্ড অফিসার আল আমিন এর নেতৃত্বে মহেশখালীর চিহ্নিত এলাকায় অপারেশন চলমান রয়েছে। সেকেন্ড অফিসার আল আমিন যোগদানের পর থেকে ইতিমধ্যে অসংখ্য আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং দাগী সন্ত্রাসীরা আতংকে এলাকা ছাড়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষ অভিযান সফল করতে এসআই মহসীন চৌধুরী পিপিএম, এসআই মহিউদ্দিন, এসআই সাজ্জাদ চৌধুরী, এসআই অসীম কুমার, এসআই রাজীব, এএসআই এমদাদ, এএসআই রাসেল, এএসআই লিংকন, এএসআই রিয়াজ সঙ্গীয় ফোর্সসহ(টিম মহেশখালী) থানা পুলিশ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনায় গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে আসামী- ১। সিআর- ৩৩৩/২৩ এর আসামী
মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, পিতা-আবু জাফর, ২। সিআর-৫৭৫/১৭(প্রতারণা) ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ বাকী বিল্লা হেলালী, পিতা-সামসুদ্দোহা, ৩। জিআর -৬৮০/১০(মাদক) ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আবদুর রাজ্জাক, পিতা-মৃত হাজী জাফর আহমেদ, ৪। জিআর সাজা-১০২/১৯,(মাদক) ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ ইসমাইল, পিতা-মোঃ কামাল, ৫। বন -২৯/১৭(পাহাড় কাটা)
৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মাহবুব, পিতা-মৃত এজলাস মিয়া, ৬। জিআর-৫২/২৩, এর আসামী আলা উদ্দিন (৪৪), পিতা-জহির আলম, ৭। জিআর-২৯৬/২২, এর আসামী
আজিজ উল্লাহ (৪৫), পিতা-মৃত আলী আহমদ ভুতু, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার সহ ০৭ জন আসামী’দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মহেশখালী থানা পুলিশ।
আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইবে এমনটি জানান সেকেন্ড অফিসার আল আমিন।