ঢাকা অফিস।।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজন মারা গেছে। তাদের একজন ছাত্র জারিফ ফারহান (১৩)। তিনি স্কুলটির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আরেকজন মাসুমা (৩২)। তিনি স্কুলে অফিস সহায়ক (আয়া) হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জারিফ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায়। ১০টা ১৫ মিনিটে মারা যান মাসুমা। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন জানান, গতকাল দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে চারজনের অবস্থা এখনও খুব খারাপ। এদিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। বর্তমানে সিএমএইচে আটজন আহত রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। তিনি চিকিৎসকদের কাজের প্রশংসা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
গত সোমবারের বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, আটজন সিএমএইচে, একজন শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যালে এবং একজন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশির ভাগই শিশু।
এদিকে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মানসিকভাবে ক্ষতি বা আঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসার তদারকির জন্য ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মো. মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রিস্ট) ডা. মোহাম্মদ জুবায়ের মিয়াকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। গত বুধবার হাসপাতালের পরিচালক এ কমিটি গঠন করেন বলে গতকাল জানান কমিটির সদস্যসচিব। তার ভাষ্য, ওই ঘটনায় এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রিস্ট) ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ড. নিয়াজ মোহাম্মদ খান (সাইকিয়াট্রিস্ট), সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল নাহার (সাইকিয়াট্রিস্ট), ডা. জিনাত লায়লা, সহযোগী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রিস্ট) ড. মো. জহির উদ্দিন, ডা. জেবুন নাহার (সাইকিয়াট্রিস্ট), ডা. মো. তৈয়ুবুর রহমান রয়েল (সাইকিয়াট্রিস্ট), ড. আনিকা বাসারাত (সাইকিয়াট্রিস্ট), মোহাম্মদ জামাল হোসেন (সাইকিয়াট্রিস্ট) সোশ্যাল ওয়ার্কার, জেসমিন আক্তার (সেবা তত্ত্বাবধায়ক) ও আবুল কালাম আজাদ (ওয়ার্ড মাস্টার)।