বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ মিন্টু
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাসমান বাজারে খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও হকারদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মহড়া দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর মাওনা চৌরাস্তা ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে ভাসমান বাজারের সব দোকানপাট।
মাওনা চৌরাস্তা ভাসমান বাজারের ইজারাদার মো. কাজল ফকির বলেন, "সরকারের নিকট থেকে বৈধভাবে রাজস্ব প্রদান করে বাজার ইজারা নিয়েছি। গতকাল খাজনা আদায়ের সময় ফুটপাতের কিছু দোকানি আমার এক কর্মীকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। আজ খাজনা তুলতে গেলে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ১৫ জন আহত হন, তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম ব্যাপারী, আশিক ও ইমরানের অবস্থা গুরুতর।"
ভাসমান বাজারের এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "বহুদিন ধরে এখানে ব্যবসা করলেও আগে কখনো খাজনা দিতে হয়নি। হঠাৎ করে রসিদ দিয়ে খাজনা আদায় শুরু হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষ বাধে।"
হকারদের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া জাহিদ হোসেনের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিজন মালাকার জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, "মাওনা চৌরাস্তার অস্থায়ী বাজার বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে।