
মোঃইকারামুল হাসান ক্রাইম রিপোর্টার মাগুরা,
মাগুরা শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে গড়েরহাট কাজী আয়শা খাতুন মাদরাসার নাম ব্যবহার করে আর্থিক টাকার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা’র নাম ব্যবহার করার অভিযোগ
গড়েরহাট কাজী আয়শা খাতুন দাখিল মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে বুনাগাতি আমজেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মাদরাসার নাম ব্যবহার ও ভাঙ্গিয়ে জাল জালিয়াতি করার অভিযোগ
ডাকঘর: গড়েরহাট, উপজেলা: শালিখা, জেলা: মাগুরা।
স্থাপিতঃ ১৯৭৮ ইং, EIIN No-118106, মাদ্রাসা কোড-১৬১৬৫, কারিগরি বোর্ড কোড-৩১০৩৫
মাদ্রাসার দায়িত্বপাপ্ত সুপার মোঃ আবুল হাসান।
গড়েরহাট কাজী আয়শা খাতুন দাখিল মাদ্রাসা, মাদরাসা কোড-১৬১৮৫, কারিগরি বোর্ড কোড-৩
মাননীয় উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বরাবর আবেদন দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা’র ছাত্র-ছাত্রীদের যাবতীয় খেলার সরঞ্জামাদি পাইবার জন্য আবেদন।
শালিখা উপজেলাধীন ৭নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গড়েরহাট কাজী আয়শা খাতুন দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। মাদ্রাসাটি ১৯৮২ সালে এমপিও ভূক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রীড়ায় অঞ্চলভিত্তিক, থানা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে থাকে। মাদরাসা সহ জেলার সুনাম অর্জন করেছে বিভিন্ন পর্যায়ে ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, অত্র মাদ্রাসাটিতে গত ১৬ বছর সরকারের পক্ষ থেকে অত্র মাদ্রাসায় ক্রীড়া বাবদ কোন অর্থ বা খেলার সরঞ্জামাদি কিছুই পাই নাই, যাহা অত্র মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য নিম্ন লিখিত সরঞ্জাম ১। ক্রিকেট সেট ২। ফুটবলসেট (জার্সি সহ) ৩। ব্যাডমিন্টন ৪। ভলিবল সেট ৫। চাকতি ৬। বর্শা ৭। গোলক ইত্যাদি একান্ত প্রয়োজন।
কাজী আয়শা খাতুন মাদ্রাসা, মধুখালী, পুলুম, শালিখা, মাগুরা। স্থাপিতঃ ২০১৫ ইং ১১.১২.২০২৪
বরাবর, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা। আবেদন সূত্রে জানা যায় অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদন।
অত্র মাদ্রাসাটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সুনামের সহিত শিক্ষা দান করে আসছে। অর্থের অভাবে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক অনুদান পেলে আমাদের কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবো।
আলআমিন
১১/১২/২০২৪
মোঃ আলামিন মোল্যা, সাধারন সম্পাদক কাজী আয়শা খাতুন মাদ্রাসা মধুখালী, পুলুম, শালিখা, মাগুরা।
মোঃ আনোয়ার হোসেন সভাপতি কাজী আয়শা খাতুন মাদ্রাসা, মধুখালী, পুলুম, শালিখা, মাগুরা।
অথচ গতকাল সরেজমিনে গিয়ে মধুখালী গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় দেখা যায় ও স্থানীয় এলাকাবাসীর রুবি খাতুন সহ বেশ কয়েকজন লোকজন জানান, এখানে বেশ কয়েক বছর পূর্বে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো কিন্তু কাজী আয়শা খাতুন মাদ্রাসা হয়েছে এটা আমরা শুনি নাই বা জানি না আর কোন সাইনবোর্ড দেখি নাই।
গড়েরহাট কাজী আয়শা খাতুন দাখিল মাদরাসার সুপার মোঃ আবুল হাসান জানান গত ২৭/১১/২০২৪ তারিখে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে খেলাধুলার সামগ্রী পাইবার জন্য আমার মাদরাসা থেকে একখানা লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই সুযোগে একই তারিখে বুনাগাতি আমজেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জালিয়াতি করে আমার মাদরাসার নাম ভাঙ্গিয়ে কাজী আয়শা খাতুন মাদরাসা নাম প্যাডে লিখে সেও ২ লাখ টাকার আবেদন জমা দিয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও জাল জালিয়াতি কাজ।
সম্ভবত এই ২ লাখ টাকা নিয়ে শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বনি আমিন, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম ও মাগুরা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা মমতাজ জানেন। আর আমার জানা মতে মধুখালী দক্ষিণ পাড়ায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো যা বেশ কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত এই শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন টাকার লোভে আমার মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে দুই নম্বর পন্থা অবলম্বন করেছে যা নিতান্তই অপরাধ মূলক ও ঘৃণিত কাজ।
আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড হতে ৩৬১০- তানজিমা আকতার-৭ম শ্রেণি, ৩৬১১ মো: সজিব মোল্লা ১০ম শ্রেণী ও ৩৬১২ মোছা: তাসলিমা খাতুন ৮ম গড়ের হাট কাজী আয়শা খাতুন দাখিল মাদ্রাসা লিস্টে ৩ জনের নামে ১৫ হাজার টাকা পেয়েছে এটা কারা করেছে তা জানা নেই আর ঐ নামের ৩ জন ছাত্র-ছাত্রীয় আমার প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে না আপনারা সাংবাদিকরা এব্যাপারে গভীর অনুসন্ধান করে বের করেন সত্য ঘটনা। তবে ১০ হাজার টাকা পেয়েছে চিকিৎসা বাবদ আমার মাদরাসার অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান।
এবিষয়ে আমজেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান মধুখালী দক্ষিণ পাড়ায় কাজী আয়শা খাতুন মাদ্রাসার সভাপতি আমি তাই আমি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আর্থিক অনুদান সাহায্য চেয়েছি। আর আপনি সাংবাদিক আমার কাজী আয়শা খাতুন মাদরাসা দেখে আসেন।