মোঃ ইকরামুল হাসান ক্রাইম রিপোর্টার মাগুরা
রাজ হাস নিয়ে মাগুরা শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের পাথরঘাটায় সন্ধ্যা ও গভীর রাতে বাঁশের মুগুর ও বাবলা গাছের মুগুর দিয়ে মারার অভিযোগ দিয়েছেন রেকসোনা খাতুন ও লিলি খাতুন। তারা এখন মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এদিকে রেকসোনার বাম চোখে মারের আঘাতে দৃষ্টি নষ্ট হওয়ার আশংকা। পাথরঘাটা গ্রামের রমজান বিশ্বাসের কন্যা রেকসোনা খাতুন (২৪), স্ত্রী লিলি খাতুনকে (৫০), শাশুড়ী আয়তন বিবি, সিয়াম (১১) ও রশিদা খাতুন কে মারধর করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৭ জুন সন্ধ্যার পর অনুমান ৭.৩০ টার সময় মোসলেমের বাড়ি থেকে রেকসোনা ও লিলি মারধর করে রেজাউল মোল্লার পুত্র সোলায়মান মোল্লা (২৪), রহিমা (৫০), আছিয়া (৩০), রোস্তমের পুত্র রিয়াজ (১৮), শহর আলীর কন্যা শারমিন (২২) যার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী কেছমত লস্কারের পুত্র মোসলেম লস্কার (৫০), বাবলুর স্ত্রী কুমকুমি (৩৫), হামিদ লস্কারের পুত্র আলামিন (২০)।
আহত রেকসোনা খাতুন জানান, ১৭ জুন সন্ধ্যার পর মারধর করে এরপর বুধবার ১৮ জুন রাত অনুমান ২.৩০ টার সময় আমি প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা সোলায়মান মোল্লা বিশ্রী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাবলা গাছের মুগুর দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মারতে থাকে। আমার ডাক চিৎকারে নানি আয়তন বিবি, সিয়াম, রশিদা ও মা লিলি খাতুন এসে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। আঘাতে আমার বাম চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে এছাড়াও মাথা, পিঠ ও সারা শরীরে গুরুত্বর আঘাত করেছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
লিলি খাতুন জানান ডান পাশের বাহুতে, ঘাড়ে, বুকের খাঁচায় আঘাত, বুকে ঘুষি ও মাথায় আঘাত করেছে।
মুগুর দিয়ে মারধরের এবিষয়ে রহিমা ও আসিয়া জানান, লিলি খাতুনরা আমার রাজ হাস মেরে ফেলেছে তাই আমরাও মেরেছি তাদের এছাড়া আর কিছু না। আসিয়া বলে তার হাত কামড়ে দিয়েছে লিলি, রহিমা জানায় তার পায়ের তোড়ায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেছে ওরা মা-মেয়ে এবং আমার মেয়ে আসিয়ার নামে রটনামূলক গুজব মিথ্যা কথা বলেছে নাগোসায়। গ্রামের হাফিজুর ও গিয়াসউদ্দিন জানায় লিলি ও রেকসোনারা এর আগেও কেস মামলা করেছে এই এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে।