খুলনা

মাগুরায় শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাড়িতে স্থানীয়দের আগুন

  প্রতিনিধি 13 March 2025 , 3:18:56 প্রিন্ট সংস্করণ

ফয়সাল হায়দার

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মৃত্যুর খবরে অভিযুক্ত আসামিদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে এলাকার লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয়রা প্রথমে পৌর এলাকার ওই বাড়িটিতে ভাঙচুর চালায়। তারপর বাড়িতে আগুন দেয়।

রাত সোয়া ৮টার সময় এই প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত ওই বাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কাউকে সেখানে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ ঢাকা সিএমএইচ থেকে মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। শিশুটির মরদেহ মাগুরায় পৌঁছানোর পর স্থানীয়রা সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী।

তিনি জানান, স্থানীয়রা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি সামলানে পুলিশকে বেগ পোহাতে হয়েছে।

এর মধ্যেই স্থানীয় নোমানী ময়দানে শিশুটির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আরেকটি জানাজা শেষে দাফন হয়।

বিক্ষোভ ঠেকাতে শহরজুড়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ধর্ষকদের কোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হবে না। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লাবণী জামান বলেন, ‘আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে ধর্ষকের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলা মহিলা পরিষদ সর্বদা শিশুটির পরিবারের পাশে থাকবে।’

মাগুরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। আমরা শিশুটির মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাই। যদি ধর্ষকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা মাগুরায় বিক্ষোভ শুরু করব।’

এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকায় মারা গেছে শিশুটি।

আইএসপিআর শিশুটির চিকিৎসাব্যবস্থা বিষয়ে জানিয়েছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

 

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ