প্রতিনিধি 1 January 2025 , 12:25:42 প্রিন্ট সংস্করণ
বালী তাইফুর রহমান তূর্য,সমাজকর্মী ও লেখক:
বিপ্লবীদের মুক্তির এক অবিসংবাদিত স্লোগান ছিলো কিউবার চে গুয়েভারার ““Patria o muerte!”পারশিয়া অর মুয়েত্রে” অর্থাৎ মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু।
তরুনরা বারবারই মাতৃভূমির মুক্তির জন্য রক্ত দিয়েছে কিন্তু তরুনদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এই ব দ্বীপের রাজ দরবার থেকেই শুরু হয়েছিলো।পলাশীর প্রান্তরে তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো।তিতুমীরের রক্তের অবদানও সফল হয়েছে কি আজও?মিলেছে প্রকৃত মুক্তি?খুদিরাম বসুর সেই ফাসিতেও কি মুক্তি মিলেছিলো প্রকৃতপক্ষে? মেলেনি।১৯৪৭ এ দেশ ভাগ হলো,বৃটিশরা চলে গেলো।সবাই ভাবলো এই
বুঝি মুক্তির সুধা মিলবে।তবু মিললো না।
১৯৫২ তে তরুনরা ফের ভাষার জন্য জীবন দিলো।অথচ এখনো দেশের আইন বিচার,উচ্চ শ্রেনীর বই বাংলায় লেখা হয় না আজও, এটা কি সেই তরুনদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয়?
১৯৬৯ সালের গন অভ্যূত্থান ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও তরুনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করায় ১৯৭১ সালে লাখো তরুনরা ফের রক্ত দিয়েছিলো,দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে।ফের ১৯৭৫ এ বাকশাল।১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসন দেশে ফের সংকট।আগের রক্ত ফের বৃথা।
১৯৯০ সালে আবার তরুনদের গন আন্দোলন, দাসত্ব মুক্তির আন্দোলনে তরুনদের রক্ত বিসর্জন। সেই রক্তের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।চলেছে দুর্নীতি, অর্থ পাচার,লুটপাট, চাদাবাজি, জুলুম।
জুলাই,২০২৪ ফের তরুনদের রক্ত ঝরেছে ঝর্নার পানির মতো।এবারও সেই একই ধারা,তরুনদের রক্ত ভুলে ক্ষমতার গদির লোভে পাগল হয়ে উঠেছেন রাজ দরবারের উজির নাজিররা।কমেনি চাদাবাজি,দুর্নীতি।এই ব দ্বীপে,এই ভূমিতে রাজ দরবার তরুনদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছে বারবার।ঠকেছে মাতৃভূমি, তাদের হয়েছে বানিজ্য।
বারবারই তরুনদের রক্ত বিফলে যাওয়ার অন্যতম কারন আপামর বাঙালির জাগ্রত না হওয়া।জাগ্রত হয়েও ফের ঝিমিয়ে যাওয়া।বিপ্লবের হাল ছেড়ে দেয়া।তাই এই ভূমির আদিবাসিদেরকে তাদের মাতৃভূমির কল্যানের স্বার্থে লড়তে হবে অসীম সাহস নিয়ে।”মাতৃভূমির মুক্তি অথবা মৃত্যু।”