প্রতিনিধি 21 July 2025 , 1:10:53 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার্স।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে কাশিমপুর হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজৈর উপজেলার কাশিমপুর হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসার সামনে অত্র প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়দের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক,সামাজিক নেতৃবৃন্দ,নয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকা বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।
বক্তব্য রাখেন, কাশিমপুর হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোক্তার হোসেন,উপাধ্যক্ষ মাওলানা বাকের হোসেন, গনিত শিক্ষক স্বপন কুমার বালা,ইংরেজি শিক্ষক মাওলানা ওসমান গনী, কৃষি শিক্ষক দেবাশীষ হাজরা,ইবতেদায়ী শিক্ষক আহাদ মুন্সী, সহকারী মৌলভী নারজু চৌধুরী, মাদ্রাসার গভর্নিং বডি সাবেক সদস্য হাফেজ দেলোয়ার হোসেন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দ ।
বক্তারা বলেন,‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, তারা বলেন এটি আমাদের সমাজব্যবস্থা, নৈতিকতা ও নারীর নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। আমাদের কন্যা শিশুরা আজ নিরাপদ নয়। লামিয়ার মতো একজন নিষ্পাপ শিক্ষার্থীর নির্মম হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তারা মানুষ নয় নরপশু । ’
এছাড়াও তারা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৪-৫ দিন আগে এখনো দোষীদের চিহ্নিত করা হয়নি তাদের প্রশাসন গ্রেপ্তার করতে পারেনি।প্রশাসন যদি চিহ্নিত খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনে, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে তাই অতি সত্বর পদক্ষেপ নিতে হবে।
উপস্থিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবী করে। ।
লামিয়ার দাদী শেফালী বেগম সাংবাদিকদের জানান, লামিয়া গত বুধবার (১৬ জুলাই) মাদ্রাসা থেকে ১টার দিকে বাসায় ফিরে এবং দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করে। বিকেল আনুমানিক চারটা/পাঁচটার দিকে একটা ফোন কল পেয়ে লামিয়া বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর অনেক খোঁজা খুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরিবার সন্দেহ পোষণ করে হয়তো কোন ছেলের সাথে চলে গেছে, তাই তারা নীরব থাকে। ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে তাকে ফোনে কথা বলতে দেখে তার দাদী। এরপর থেকেই লামিয়া নিখোঁজ।
পরদিন ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পাট কাটা কৃষকেরা বাড়ির পাশের আবদুল হক মাতুব্বরের পুকুর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।লামিয়ার বাবা মিজানুর রহমান মোল্লা জানান থানায় এখনো তিনি কোন অভিযোগ অথবা মামলা করেনি। কেন সে এখনো অভিযোগ করেনি সে কারণে এলাকাবাসীর অনেক খুব প্রকাশ করে।