স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী হীরা
২৯ জুন রোজ রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোল্লা কান্দি নিবাসী শাহ আলম হাওলাদার এর বিবাহিত মেয়ে ( জানু) ওরফে জেসমিন ২৬ এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় জেসমিন এর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের কথা শুনা যাচ্ছে। মৃত গৃহবধূর চাচা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে জেসমিন এর উপর কারনে অকারণে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল জেসমিন এর স্বামী ইতালি প্রবাসী সে বর্তমানে ইতালিতে কর্মরত আছে এবং ইতালি থেকে মৃতের স্বামী আমাদের জেসমিন মৃত্যুর খবর জানাই । পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এর উপযুক্ত সর্ব উচ্চ বিচার চাই ।
জানা যায়, গত ৬ বছর আগে রাজৈর উপজেলার বদর পাশা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ গ্রামের শাহ আলম হাওলাদারের মেয়ে জেসমিন এর পাশের গ্রাম রাজৈর পৌর সভার মোল্লা কান্দি গ্রামের আমির মাতুব বরের ছেলে ইতালি প্রবাসী রানা মাতুববরের সাথে ৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।জানা যায় তাদের ওরস জাত ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু জেসমিন কে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে । মৃত্যুর খবর শোনার সাথে সাথে শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু দেহ রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে ।
এই ঘটনার সমন্ধে জানতে চাইলে রাজৈর থানার এ এসআই ফরিদ বলেন আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট লিপি বদ্ধ করেছি মৃত্যুর রহস্য পোস্টমর্টাম করে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।