প্রতিনিধি 1 May 2025 , 1:32:16 প্রিন্ট সংস্করণ
অভয়নগর (যশোর):
ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সজীব দাস নামের এক যুবক ধর্মীয় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বিতর্কিত পোস্ট মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যার ফলে অভয়নগরের প্রেমবাগে ভয়াবহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ধর্মসাগর গ্রামের সজীব দাস, যিনি একটি বিতর্কিত সংগঠন ‘All India Hindu Unity’ এর প্রচারণা চিত্র ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, সেখানে মুসলমানদের নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়। পোস্টে বলা হয়, “মুসলমান কোন ধর্ম নয়, এটি একটি মাজহাব, অর্থাৎ চলার পথ। সুপর্ণরেখার বংশধর রাক্ষস বংশের গুরু শুকরাচার্য্যের জন্য তারা বেঁচে আছে।” এমনই ঘৃণিত মন্তব্যে হতবাক হয়ে যায় স্থানীয় জনগণ।
এ ঘটনায় স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসলিম’রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বৃহস্পতিবার, ১ মে দুপুরে প্রেমবাগ বাজারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি একটি বৃহৎ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে। সেখানে তারা সজীব দাসের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, ৩০ এপ্রিল রাতেই অভয়নগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সজীব দাসকে আটক করে। এবং পরবর্তীতে আদালতে পাঠায় এবং পুলিশ জানায়, সজীব দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও দণ্ডবিধির ১৫৩(ক), ২৯৫/২৯৫(ক) পেনান কোর্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং- ১, তারিখ: ০৩/০৫/২০২৫)।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ খুবই সচেতন। তদন্ত চলমান, এবং অভিযুক্তকে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
প্রেমবাগে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে আটক সজীব দাসের গ্রেফতার ও আদালতে পাঠানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। তবুও, জনতার ক্ষোভ যেন থামতে জানে না। এলাকাবাসী এখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সোচ্চার।
সকলের নজর এখন এই ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ এবং তার ভবিষ্যত আইনি ফলাফল নিয়ে।