মৌলভীবাজার জেলা শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদর ইউনিয়ন মৌলভীবাজার রোড ৫ নং পুল সংলগ্ন ২ নং ওয়ার্ডের জনসম্মুখ জন চলাচলের প্রধান রাস্তা বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে জবরদখল অবৈধ বালু মহাল ছড়া,গাং এর বালু খেকো ও বালু দস্যুরা প্রতিদিন শত শত ট্র্যাকে বালু উত্তোলন ও বালু পরিবহনে উত্তর ভাড়াউড়া ও মৌলভীবাজার রোড ৫ নং পুল হাইওয়ে সড়ক কালভার্ট ভাঙ্গনের ঝুঁকি, সাধারণ জনগণ চলাচল রাস্তায় ছোট ছোট গর্ত, রাস্তা ভাঙ্গন, ধ্বস ও দেবে যাওয়া, ছড়া ও গাং প্রশস্ত কম, রাস্তার পাশে মাটি ধরে রাখা গাছগুলো রাতের আধারে চুরি করায় নদী ভাঙ্গন ও রাস্তা ভাঙ্গন দূর্ভোগ প্রতিরোধে নিজ উদ্দ্যোগে, গ্রাম পঞ্চায়েত সমন্বয় ও সহযোগিতার অর্থায়নে এলাকাবাসী রাস্তা মেরামত উদ্দ্যোগ গ্রহণ এবং রাস্তা মেরামত ও গাইড ওয়াল নির্মাণে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন নিকট আবেদন করেছেন।
সরজেমিনে গিয়ে জানা যায়, জনসাধারণ রাস্তা চলাচল উপযোগীকরণে এলাকাবাসী সবাই হাতে হাত মিলিয়ে বালু, সিমেন্ট ও পানি মিশ্রিত করে বস্তায় ভর্তি, গাছের বলা ও বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙ্গন ও রাস্তা ভাঙ্গন প্রতিরোধে ভরাট করেছে। বালু,সিমেন্ট ও পানি মিশ্রিত বস্তা ভর্তি দিলে পাথর পরিণত হয়ে অদূর ভবিষ্যতে পানির সাথে ধুয়ে যাবে না ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেকসই বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকাবাসী পঞ্চায়েত ও সাবেক শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কমিশনার হাজী মোঃ শাহিদ মিয়া কথা বলেন। আরও দেখা যায় ০৫ নং পুল পশ্চিমে ছড়া/ গাং সংলগ্ন গাইড ওয়াল ছিল তা পরিত্যক্ত ভাঙ্গন হওয়াই গাইড ওয়ালের পিলার ৫'সুতি রডের সাথে টান টানা দিয়ে রাস্তাস্থ পাশে ব্যাক্তি মালিকানাধীন সীমানা প্রাচীর এর পিলার রডের সাথে টানা দিয়েছেন।
এলাকাবাসী, পঞ্চায়েত কমিটি সমন্বয়ক ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক কমিশনার হাজী মোঃ শাহীদ মিয়া বলেন এই রাস্তা শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার বিশ্ব রোড, উত্তর ভাড়াউড়া ২ নং ওয়ার্ডের জনগণের চলাচলের প্রধান রাস্তা। রাস্তা দিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন শত শত ট্র্যাকে বালু উত্তোলন ও বালু পরিবহনে রাস্তায় গর্ত,ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী মিলে বালু,সিমেন্ট ও পানি মিশ্রিত করে বস্তায় ভর্তি করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা গুটি তিনজন বড় অংকের দাতা ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০,০০০/=( দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) খরচ হয়ে গেছে। আমরা এলাকাবাসী মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু ইজারা দেওয়া বন্ধের জন্য আবেদন করব। সাবেক কমিশনার আরও বলেন রাস্তার পাশে যে গাছগুলো আছে সেগুলো আমার নিজ হাতের উদ্দ্যোগে লাগানো গাছ। এ গাছ গুলো রাতের আধারে চোরেরা কেটে নিয়ে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু গাড়ি চলাচল করত জেনেও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দুদু মিয়া ও ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মারুফ মিয়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় রাস্তা দিয়ে বাড়িতে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন তারপরও বালু উত্তোলন বন্ধে কোন উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে নি।
এলাকার সচেতন নাগরিক মোঃ জাবের হোসেন বলেন এই রাস্তা উত্তর ভাড়াউড়া হতে হাওড় পর্যন্ত চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গন, রাস্তা ভাঙ্গন ও রাস্তায় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যা জনসাধারণ চলাচলে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। গাইড ওয়াল ভাঙ্গনের পাশাপাশি মৌলভীবাজার রোড শ্রীমঙ্গলে ৫ নং পুল যে ব্রিজ রয়েছে তা ভাঙ্গনের ঝুঁকি রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দুদু মিয়া পক্ষে ছেলে টিপু আহমদ বলেন ৫ নং পুল উত্তর ভাড়াউড়া রাস্তা মেরামতে ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট বরাদ্দ নেই।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু তালেব বলেন আমি বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়ে বালু উত্তোলনের কাউকে পাই নি। সচেতন এলাকবাসী ও জনস্বার্থে নিজ উদ্দ্যোগে যদি নদী ভাঙ্গন, রাস্তা ভাঙ্গন প্রতিরোধে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। আর, যদি বালু উত্তোলন করে তাহলে স্পেসেপিক কখন, কোন সময় বালু উত্তোলন করে তা জানালে আমরা ও আমাদের লোক সেখানে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিবে।