জেমস আব্দুর রহিম রানা
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। খবর প্রকাশ হওয়ার একদিন পরেই যশোরের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন যশোরের সিভিলসার্জন মাসুদ রানা।
প্রথম দিনেই কেশবপুরে অভিযান চালিয়ে ৪টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মাসুদ রানা। আজ ২০ এপ্রিল রবিবার ৪টি ভিন্ন ভিন্ন স্বারকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, মাতৃ মঙ্গল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাইকেল হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এবং পাঁজিয়া রোড়ে অবস্থিত কেশবপুর শিশু ও জেনারেল হাসপাতালকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এর আগে ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নাগরিক ভাবনা ও দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ পত্রিকায় "
যশোরে সিভিল সার্জন অফিসের তালিকার বাইরে অর্ধশত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার!" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পত্রিকা পাওয়ার পর ঐদিন সকালেই জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ মাসুদ রানা। এরপর আজ ২০ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ক্লিনিক গুলো বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে এক রোগীর অপারেশন করাকালীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভুয়া চিকিৎসক আটক এবং ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরর্তীতে ২৩ মার্চ-২০২৫ তারিখে চালু হয় কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর সকল কার্যক্রম। একমাস যেতে না যেতেই আবারো যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মাসুদ রানার অভিযানে বন্ধ ঘোষনা করা হল কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার।