প্রতিনিধি 12 April 2025 , 7:37:03 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিবেদক:- মাহতিম আহমেদ
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে অবস্থিত মেয়েদের সেই কওমি মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শনিবারের (১২ এপ্রিল) মধ্যে ছাত্রীদের নিজেদের পরিবারে ফিরে যেতে হবে। মাদ্রাসাটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। একইসাথে এখন থেকে দেশে মেয়েদের আর কোনো কওমি মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক ম্যারাথন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে মাদ্রাসাটির পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাক্তার কাজী নাজিব আসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় তার দপ্তরে ওই সভা শুরু হয়। সভায় যশোর থেকে প্রায় ৩০ জন মাওলানা অংশ গ্রহণ করেন।
তারা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সদস্য। উল্লেখিতদের মধ্যে ছিলেন কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কমির যশোরী এবং মাওলানা নাসিরুদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) আল নাহিয়ান।
ডাক্তার কাজী নাজিব হাসান আরও জানান, সভার শুরুতে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই বিব্রত। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে সে ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে