জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আপন বৃদ্ধ চাচা শামসুর রহমানকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এজাজ (২২) নামে এক কুলাঙার। এ সময় অবাধ্য ছেলে এজাজের বাবা খলিলুর রহমানও হামলায় অংশ নেন। তিনি আহতের ছেলেকে পিটিয়েছেন। আহতের এক পা শরীর থেকে প্রায় বিছিন্ন হয়েছে। তার ঘাড়েও বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ২৪ ঘন্টা পর না হওয়া পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। এ ঘটনায় হতদরিদ্র পরিবারটি চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। যাদের চুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের পক্ষে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ কোথায় পাবেন। তারা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পৈশাচিক এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে।
হাসপাতালে ভর্তি শামসুর রহমান (৬০) বলেন-সামান্য জমির সীমা নিয়ে ছোট ভাইয়ের ছেলে এভাবে কুপিয়ে জখম করবে, তা ভাবতে পারছি না। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন-এ সময় গোটা পরিবার তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছে, ভাবী এজাজকে পা ধরে কোপ না দেয়ার আকুতি করেছে কিন্তু শোনেনি। তাছাড়া অভিযুক্ত এজাজের বাবা ঠেকানোর পরিবর্তে আমার ছেলেকে মেরেছে।
আহতের ভাবী মমতাজ বলেন-অভিযুক্ত এজাজ আমার দেবরে ছেলে। ও যখন কুড়াল উচু করে জয় বাংলা বলে কোপাতে যায়, তখন ওর পা ধরে বলেছি, ওরে এভাবে কুপাসনে কিন্তু শোনে। আহত শামসুর রহমান ও অভিযুক্ত এজাজের বাপ খলিল দু’জনই আমার দেবন উল্লেখ করে তিনি বলেন-এ ঘটনার বিচার চাই।
চরম আতঙ্ক ও চিন্তাগ্রস্ত দেখা গেছে আহতের স্ত্রীকে। তিনি কথাই বলতে পারছেন না। একদিকে চিকিৎসা খরচ, অন্যদিকে থানা কোর্ট করার মতো সামর্থ পরিবারটির নেই।