প্রতিনিধি 16 March 2025 , 4:38:44 প্রিন্ট সংস্করণ
মনিরামপুর যশোর প্রতিবেদক
যশোরের গদখালীতে ফুল কিনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৯)। এ ঘটনায় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়ার একটি লিচুবাগানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো- গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে ইয়াসির আরাফাত (২২), একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন (২৮), শরিফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী (২১) ও উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান (২০)। এরমধ্যে আল মামুন বাপ্পী গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়াসির আরাফাত দফতর সম্পাদক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ধর্ষণের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের রাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। বেনাপোলে খালার বাড়ি থেকে বাসযোগে ফিরছিলেন যশোরে কিন্তু গদখালীতে ফুল কিনতে বাস থেকে নামেন। সেখানে তিনি আমিনুর রহমানের ফুলের দোকানে যান। চার যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একপর্যায়ে তাকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তির লিচুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই চার যুবক। পরে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশে জানান ভুক্তভোগী। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন। এরপর মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র নূর-ই আলম সিদ্দিকী এবং এএসপি (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, ‘তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আটক ৪ জনকে ঝিকরগাছা থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যল পরীক্ষার জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হবে।