নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর শানতলা গ্রামের চা বিক্রেতা খলিলুর রহমানের ছেলে শাকিল খান। তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাফসান পরিচয় দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চুকিয়ে প্রেম করছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে প্রেম নাটক শুরু। এক পর্যায়ে তথ্য ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে ভুয়া সেনা কর্মকর্তা শাকিল খান হাতিয়ে নেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘটলো বদহজম। সেনাবাহিনী তাকে গ্রেফতার করে উদঘাটন করেছে মেয়েদের সাথে প্রতারণার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার কাছ থেকে ‘ক্যাপ্টেন রাফসান’র একটি ভিজিটিং কার্ড ও সেনাবাহিনীর রেলওয়ের ওরেন্ট পেপার উদ্ধার হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরের পর যশোর নিউ মার্কেট সি ব্লকের ৮২ নাম্বার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাড়িটি বিমানবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সুলতানের। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শাকিল খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- গত ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাফসান পরিচয় দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানা কথা-বার্তা ও ছবির লেনদেন হয় তাদের। গত ৮ মাস পূর্বে হতে সেইসব তথ্য ফাঁসের ভয় দেখাতে থাকে প্রতারক শাকিল। ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ২৭০০০ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু ব্লাকমেইল করা থেকে থেমে থাকেনি এই প্রতারক। নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার খালাতো ভাই যশোরের ফয়সাল করিমকে জানান। এরপর ঘটে বিপত্তি। ফয়সাল করিম ওই বাড়িতে গিয়ে কৌশলে প্রতারক শাকিল খানকে আটকে ফেলে খবর দেন পুলেরহাট আর্মি ক্যাম্পে। তাৎক্ষণিক একদল সেনা সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাকড়াও করেন অভিযুক্ত শাকিল খানকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল খান স্বীকার করেছেন ২০২২ সাল হতে ক্যাপ্টেন রাফসান সিগন্যালের অফিসার পরিচয়ে ১২ থেকে ১৩ জন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করেছেন। ভাড়া বাড়িতে অনেক মেয়ের সাথে একান্তে সময়ও কাটিয়েছেন শাকিল। পরে সেইসব ফাঁসের ভয় দেখিয়ে অধিকাংশ মেয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়েছেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘ক্যাপ্টেন রাফসান’র একটি ভিজিটিং কার্ড ও সেনাবাহিনীর রেলওয়ের ওরেন্ট পেপার।
সর্বশেষ তথ্যমতে, তাকে থানায় সোর্পদ করার প্রস্তুতি চলছিল।