জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর-১ (শার্শা) আসনে রাজনৈতিক উত্তাপ দিনদিন বেড়ে চলছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাট উৎসাহ দেখা গেছে।
এ আসনে বিএনপি’র চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মাহাবুবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও মাঠপর্যায়ে তার কোনো উপস্থিতি নেই।
শার্শা উপজেলা ও আশপাশের ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত যশোর-১ আসনের মোট ভোট কেন্দ্র ১০২টি। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলও এই নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত। ভোটার, রাজনৈতিক কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে মিছিল, সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।
বিএনপি’র চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন:
মফিকুল হাসান তৃপ্তি – কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা।
হাসান জহির – শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি।
আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন – শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।
খায়রুজ্জামান মধু – শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি।
দলের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে খায়রুজ্জামান মধুর অবস্থান তলানিতে। তবে তৃপ্তি ও নুরুজ্জামান লিটন সম্প্রতি গোটা উপজেলায় ব্যাপক জনসংযোগ শুরু করেছেন।
জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। যদিও প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং নেই, তবে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ঘরোয়া বৈঠক এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছেন।
শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসান জহির বলেন, “দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করছি। যাকে দল যোগ্য মনে করবে ধানে শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমরা তাকে বিজয়ী করতে সকলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবে।”