সারাদেশ

যে উদ্যোগে কমেছে আদালতে বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি 26 January 2025 , 6:18:28 প্রিন্ট সংস্করণ

???????

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

 

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। যেখানে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে গারো, হাজং, হিন্দু মুসলিম সহ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। কখনো তাদের বিচার প্রার্থী হয়ে দারস্থ হতে হয় কোর্টের। কিন্তু কোর্টের কার্যক্রম না চললে, পড়তে হয় দুর্ভোগে। এরই মধ্যে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এর এক মহৎ উদ্যোগে লাঘব হয়েছে অত্র এলাকার মানুষের কষ্ট।

 

জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারী ২০২৫খ্রিঃ তারিখে সরকারি আদেশমুলে দুর্গাপুর চৌকি আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া ১৩৮ তম সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেয়ার জন্য কর্মস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তিতে কোর্টের বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে, একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে দূর্গাপুর চৌকি আদালতে সপ্তাহে দুইদিন বিচারকার্য পরিচালনার জন্য দূর্গাপুর আইনজীবী সমিতির আইনজীবীগণ বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ বরাবর আবেদন করেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান, সপ্তাহে একদিন দুর্গাপুর চৌকি আদালতে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম কে নির্দেশ প্রদান করেন।

 

এ নিয়ে সিনিয়র আইনজীবী মানেশ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। অত্র এলাকার বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের কথা ভেবে, আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সপ্তাহে একদিন একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে অত্র চৌকি আদালতে প্রেরণ করেছেন। তবে, অত্র আদালতে মামলার চাপ খুবই বেশি। সপ্তাহে দুইদিন বিচারিক কার্য্য চললে অনেক মামলাই নিষ্পত্তি সহজ হতো।

 

অপর এক আইনজীবী আবু সিদ্দিক আনোয়ারী বলেন, বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মহোদয় এই মহৎ উদ্দ্যোগ নেয়ার বিচারিক কার্য্যক্রম কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। তবে এ কার্য্যক্রম যদি সপ্তাহে দুইদিন চলতো, তাহলে অত্র এলাকার বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতো।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ