মো জোবায়ের ইসলাম রাজশাহী প্রতিনিধি
সারা দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর পরও রাজশাহীতে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। বিক্রেতারা আগের মতোই কেবল বলছেন, সরবরাহ কম। বাড়তি দামেও বোতলজাত সয়াবিন না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে খোলা সয়াবিন তেল কিনছেন। তারা খোলা সয়াবিন তেলই খুচরায় কিনছেন ১৮০ টাকা লিটার।
এদিকে শনিবার রাজশাহীর সাহেব বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৫ নভেম্বরের আগে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। ৫ লিটারের সয়াবিনের বোতল বিক্রি হয়েছে ৮১৮ টাকায়। ৯ ডিসেম্বর সরকারিভাবে লিটার প্রতি ৮ টাকা বাড়ানোর পর খুচরায় এক লিটারের বোতল ১৭৫ এবং ৫ লিটারের বোতল ৮৭৫ টাকায় বিক্রির কথা। কিন্তু রাজশাহীতে এই দামে সয়াবিন তেল মিলছে না।
রাজশাহীতে বসবাসরত সোহান আহমেদ বলেন, দাম বাড়ানোর আগে বোতলজাত সয়াবিন বাজার থেকে একদম উধাও হয়ে গিয়েছিল। দাম বাড়ানোর পর কিছু দোকানে সয়াবিন মিললেও বর্ধিত দামেও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, শনিবার সকালে রাজশাহীর সাহেব বাজার ও আরডিএ মার্কেটের মুদি দোকানগুলোতে এক লিটারের বোতলে নেওয়া হচ্ছে ১৮০ টাকা। খোলা সয়াবিনও প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে ৫ লিটারের বোতলের দাম নেওয়া হচ্ছে ৮৮৫ টাকা। সরকারি দামের চেয়ে প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সয়াবিন তেলের বিভিন্ন কোম্পানির স্থানীয় পরিবেশক, ডিলার ও মার্কেটিং অফিসাররা বলছেন, আগে মজুদ তেল বিক্রি শেষ হলে নতুন তেল বাজারে আসবে। কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন ও পরিশোধন সমস্যা থাকায় তাৎক্ষণিক সয়াবিন সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না।
মুদি দোকানি আইয়ুব খান বলেন, অধিকাংশ দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ নেই। আগের সরবরাহ থেকে যাদের কাছে কিছু মজুত আছে তারা কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বোতলজাত সয়াবিনের সংকট থাকায় খোলা তেল বিক্রি বেড়েছে। তবে খোলা তেলেও লিটারে কয়েক টাকা বেশি নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। কোম্পানি ও পরিবেশকরা তাদেরকে বলেছেন, রোববার অথবা সোমবার নাগাদ সরবরাহ শুরু হবে। তখন সরকার নির্ধারিত দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাবে।