হীরা ব্যুরো চীফ মাদারীপুর
জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫।
এ উপলক্ষে সরকার সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, শহর ও হাট বাজারে মাইকিং করে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। ০১ নভেম্বর হতে ৩০জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা, জাটকা পরিবহন করা, ক্রয়-বিক্রয় এবং মজুদ কিংবা হেফাজতে রাখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
রাজৈর মৎস্য অফিসে এর কোন একটি কার্যক্রমও চলমান নেই, এর কারন জানতে আজ ৯ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় রাজৈর মৎস্য অফিসে গেলে দেখা যায়, অফিসে ৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৬ জনই অনপুস্থিত। ৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৪ জন হচ্ছে রেভিনিউ আর ৪ জন হচ্ছে প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে।
রেভিনিউ চার জনের কেবল মাত্র সুজাতা বাছার (অফিস সহায়ক) কে অফিসে উপস্থিত পাওয়া গেছে। বাকী তিন জন যথাক্রমে, মোজাফর হোসেন ( অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর), মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান ( ক্ষেত্র সহকারী), সত্যজিৎ দত্ত ( মাঠ সহায়ক কর্মী) অনপুস্থিত অনুপস্থিত পাওয়া যায়। প্রকল্পের মধ্যে একমাত্র সাহাবুদ্দিন খালাসীকে উপস্থিত পাওয়া ছিলেন। রাজৈর এবং টেকেরহাট দুইটা বড় পাইকারি বাজার সেখানে কেহই কোন আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ী জানে না যে গত ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ চালু হয়েছে। এর কারন রাজৈর মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে জনসচেতনা মূলক মাইকিং প্রচার করা হয় নাই,পোষ্টার লাগানো কিংবা একটি লিফলেট বিতরন করাও হয় নাই। তাহলে মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী দের কাজ কি? রাজৈর মৎস্য অফিসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা মৎস্য অফিসার তপন মজুমদার এর সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি দায় সাড়া বক্তব্য দিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ।