অন্যান্য

রাজৈর উপজেলা হাসপাতালের বেহাল অবস্থা।সাত দিন যাবৎ নাই পানি

  প্রতিনিধি 19 June 2025 , 9:03:04 প্রিন্ট সংস্করণ

স্টাফ রিপোর্টার ।

ঈদের আগে থেকে এ যাবৎ হাসপাতালের কোন ওয়ার্ড, ব্যাথ রুম, টয়লেট পানির জন্য রোগীদের দুর্ভোগ, দোকান থেকে পানি কিনে নিয়ে টয়লেটে জেতে হয় । রোগীদের নেই কোন ব্যাবস্থা এটা কি হাসপাতাল না ,পাগলা গারদ বুঝা মুশকিল। এগারো জুন রোগীর স্বজন মাদারীপুর জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুল ইসলাম রোগীর অভিভাবক সহ সকল রোগীদের একই অভিযোগ ৬/৭ দিন যাবৎ হাসপাতালের এই বিল্ডিং এ কোন পানি নাই বলে দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিকার প্রতিনিধি কে জানান ।
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম রোগীদের অবস্থা খুবই খারাপ একটু কাটা ছিড়া বেশি হলেই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে উনারা মুক্ত হয়। গরিব অসহায় রোগীদের জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার কোন সার্জিক্যাল ডাক্তার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এই হাসপাতালে না থাকায় রাজৈর উপজেলা বাসি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের দায়িত্ব রত। মেডিক্যাল অফিসার সকাল থেকে বেলা সর্ব উচ্চ ২ টা পর্যন্ত হাসপাতালে থাকে হাসপাতালের কোয়াটারে না থেকে নিজ বাসায় চলে যায়। এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জানতে চাইলে তিনি বলেন থাকার নিয়ম কিন্তু আগে থেকে তারা এ নিয়ম চালাচ্ছে। সব থেকে বড় সমস্যা এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা ঠিকই হয় ,কিন্তু শুধু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। রোগী পেলেই অভিভাবক এর হাতে আগেই বিভিন্ন রকমের পরিক্ষার ফিরিস্তি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় । রোগীর পারিবার সবাই অসহায় ডাক্তার সাহেবরা কিছু বললে মেনে নিতে হয় কারণ এবিষয়ে সাধারণ মানুষ কিছু বুঝে না।এর আগে আমরা দেখেছি সব ধরনের ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওষুধ স্যালাইন , শিশুদের সিরাপ, এন্টি বাটিক হাসপাতালে পাওয়া যেতো এখন কেন পাওয়া যায় না। আমি নিজে আমার রোগী ভর্তি করি কি বলবো সামান্য ওর স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে জিজ্ঞাসা করলে একটাই উত্তর ভেসে আসে সাপ্লাই নাই। আবার দেখা যায় টেন্ডারের মাধ্যমে ওষুধপত্র ক্রয় করা হয়, কোথায় যাই সরকারি হাসপাতালে ঔষধ। সাপ্লাই নাই বলে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় । যেকোনো রোগী ভর্তি হলে ডাক্তার সাহেব একটি ফিরিস্তি লিখে হাতে ধরিয়ে দেয়। জানার বিষয় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ গুলো যায় কোথায়। শুধুমাত্র নার্সিং সেবা নেওয়ার জন্যই রোগীরা ওখানে থাকে । রাজৈর উপজেলা হাসপাতালের সব ধরণের পরিক্ষা করা সকল যন্ত্র পাতি থাকলেও কোন কাজ হয়না,সব বিকল সবগুলো মেশিন নষ্ট চালু করার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা যানা নাই । যেমন
এক্সরে মেশিন, ডেন্টাল মেশিন, ইসিজি মেশিন, ও আলট্রা সনো গ্রাফি মেশিন,বছরের পর বছর এভাবেই পড়ে থাকে । কি দরকার সরকারের বেতন দিয়ে এতগুলো টেকনিশিয়ান পুষে রাখার আমাদের মনে হয় বাহিরে ক্লিনিক থেকে কমিশন নেয়ার জন্য হাসপাতালের মেশিন গুলো নষ্ট করে রাখা হয় । তা নাহলে কেন বছরের পর বছর নষ্ট থাকবে । রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মোঃ শামীম আক্তার এর নিকট হাসপাতালের এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি , আই ওয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ সংবাদ দাতা কে এই বিষয়ে বলেন
আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠিয়েছি মেরামত করার জন্য , দায় সারা উত্তর দিয়ে আমাদের কাছ থেকে মুক্ত হয়। এছাড়াও কিছু দিন আগে হাসপাতালের কনফারেন্স রুম থেকে ১০ টি চিয়ার চুরি হয় , একটা এল ই ডি টিভি এবং একটি ফ্রিজ হাসপাতালের দুই তালা থেকে চুরি হয়ে যায়, রুম তালা বন্ধ থাকে চুরি কি করে । এত গুলো ভারি জিনিস তালা বন্ধ রুম থেকে কি করে চুরি হয় কে দেবে এর জবাব। এ গুলো সরকারি সম্পদ যেখানে সব সময় লোকজন থাকে সামনে এমার্জেন্সি রুম এত গুলো সিসি ক্যামেরা রুমে তালা বন্ধ তারপরও চোর ধরা পড়লো না এটাও কি জনগণ কে বোকা বানানো হচ্ছে ,নাকি ম্যাজিশিয়ান সবার চোখে ধুলো দিয়ে নিতে সাহায্য করেছে , নাকি বুঝবো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব হীন ? শুনেছি তিনি নাকি একটা রাজৈর থানায় দায় সারার জন্য জিডি করেছে এর কোন তদন্ত হয়নি। কি করে হবে এটা তো তার বাসা বাড়ির সম্পদ নয় । সবকিছু্ই বর্তমান কর্ম কর্তার অবহেলা বর্তমান
হাসপাতালের নিয়ম-কানুন অবহেলা দুর্নীতিতে ভরপুর রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । এবিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার , বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি দেওয়ার জন্য রাজৈর উপজেলা বাসি আবেদন জানাচ্ছে। আমি মোবাইলে নিউজ প্রচার হলে, রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বিকল্প পদ্ধতিতে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হয়।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ