সুমন আহমদ
দোয়ারা বাজার,
দোয়ারা বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রাত শুরু হলেই চোরের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকা'বাসী
লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় রাতে চোরের দলের দুর্বৃত্তরা, রহিমের'পাঁড়া গ্রামে'র মধ্যে এক রাতেই চারটি পরিবারের নগদ লক্ষ দিক টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত ২-৩ মাস যাবত অব্যাহত চুরি ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে দোয়ারা বাজার উপজেলা'বাসী বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং গ্রাম পৌরসভার বাসিন্দাদের মাঝে। গবাদিপশু, দোকানের মালামাল, অটোরিকশা, মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার সহ কোনোকিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি স্প্রে করে ঘর ডাকাতির ঘটনায় মানুষের জীবন রক্ষা করাও এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা যায়, রবিবার ( ২৭ অক্টোবর ) রাতে একসাথে ৪টি চুরি ঘটনা ঘটে। রহিমের'পাড়া
১ম পরিবার সুত্রে জানা যায়, আব্দুল জালাল তার ঘরে থাকা এন্ডোয়েট মোবাইল ফোন এবং অনেক জিনিসপত্র টাকা চুরি করে নিয়ে। রাত আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টা হবে।
২য় পরিবার জানায় :- নাম আলমাছ আলী তাহার ঘরে থাকা মোবাইল একটা এন্ডোয়েট ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়,তিনি বলেন ইদানিং বেশির ভাগ চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। রাতে আমরা পরিবার'কে নিয়ে খুবই আতঙ্ক মাঝে বসবাস করতেছি। ৩য় -৪থ পরিবার একই কথা বলে।
জুনেদ আহমেদ (২৪) জানায় আমাদের এলাকাতে রাত শুরু হলেই চুরির ঘটনা ঘটে রাত শেষ হলে চুরির খবর পাওয়া যায়, জনসাধারণ মানুষ অসহায় রাত কাটাচ্ছে, যদিও চুর গুলা ধরা পড়লেও কয়েক দিন পরে জেল থেকে বের হয়ে যায়, এবং আগের মত এ রকম করে থাকে,
বালিউরা বাজার,ব্রিটিশ, শ্রীপুর, দ্বীনেরটুক, নরসিংপুর, খাইরগাঁও,চরুগাঁও, রহিমের পাঁড়া, এ-ই এলাকা'তে বেশি ভাগ চুরির ঘটনা ঘটে। সারা'টা উপজেলা'বাসী আতঙ্ক,
স্থানীয়রা বলছেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ে থাকি কখন কার ঘর চুরি হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন নতদতারকি নেই বললে চলে। চুরি যাওয়া মাল কয়েকদিন নিজেরা সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের আর কী বা করার আছে। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেপ্তাতার করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।